ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখে তুঁত ফল
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ৮ আগস্ট: তুঁত একটি মিষ্টি ফল। এই ফলটি কালো রঙের, যদিও এটি লাল এবং সবুজ রঙেরও হয়। কিন্তু সবুজ তুঁত ফল খেতে টক লাগে। এই ফলটি পাকতে শুরু করলে তা লাল রঙের হয়ে যায় এবং তারপর পুরোপুরি পাকলে কালো রঙের হয়ে যায়। তুঁত ফল খেতে যতটা সুস্বাদু, ততটাই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই উপকারী ফলটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। গ্রীষ্মের মরসুমে শরীরে জলের প্রয়োজন বেশি, এটি খেলে জলের অভাব দূর করা যায়। আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ফাইবার এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ফলের বিশেষ ঔষধি গুণ রয়েছে, যা গ্রীষ্মকালে তাপের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। চলুন জেনে নিই তুঁত ফলের ঔষধিগুণ ও উপকারিতা।
তুঁত ফল ত্বককে সুন্দর করে। শীতের ঠান্ডা বাতাসের কারণে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক ও প্রাণহীন। কোকো, কলা এবং তুঁত ফলের জাদুকরী গুণাগুণ এই সমস্যা মোকাবিলায় খুবই কার্যকরী। এর নির্যাস শীতের জন্য খুবই কার্যকর। এটি ত্বকের আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে উপস্থিত ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে ত্বককে রাখে তরুণ।
তুঁত ফল খেলে হজম শক্তি ভালো থাকে। ঠাণ্ডা ও ফ্লুতেও এটি খুবই উপকারী।
প্রস্রাব সংক্রান্ত অনেক সমস্যায়ও তুঁত ফল খুবই উপকারী।
তুঁত ফল খেলে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণগুলিও প্রতিরোধ করে তুঁত ফল।
গরমে তুঁত ফল খেলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
তুঁত ফল খেলে লিভারের রোগে উপশম পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি এটি কিডনির জন্যও বেশ উপকারী।
পেটের ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার মতো সংশ্লিষ্ট রোগ থেকে মুক্তি পেতে তুঁত ফল খাওয়া খুবই উপকারী।
তুঁত ফল খেলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে শরীরে সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। এটি রক্তনালীকে শিথিল করার পাশাপাশি রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
তুঁত ফলের গুণাবলী চুলকে স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে। এটি খাওয়া চুলের বৃদ্ধি যেমন বাড়ায়, তেমনি চুল পড়াও রোধ করে। এর ব্যবহার চুলের ফ্রি র্যাডিক্যাল প্রতিরোধ করতে পারে, যা চুলকে চকচকে ও কালো করে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment