রোজ সকালে খান পোড়া রসুন, সমূলে নির্মূল হবে এসব রোগ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১১ আগস্ট: অনেকেই হয়তো আছেন, যারা রসুনের স্বাদ একদমই পছন্দ করতে পারেন না, কিন্তু রসুনে উপস্থিত উপাদানগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আর এই উপাদানগুলো অনেক রোগ থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক। তাই অবশ্যই খাদ্যতালিকায় রসুন রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি কাঁচা খেলে শরীরে নানা উপকার মেলে। তবে সেইসঙ্গেই রসুনের কোয়া পুড়িয়ে (রোস্টেড গার্লিক) খাওয়াও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
খালি পেটে পোড়ানো রসুন খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। পোড়ানো রসুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। এর পাশাপাশি সর্দি-কাশির মতো সমস্যাও কাটিয়ে উঠতে পারেন। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন খালি পেটে ২ থেকে ৩টি পোড়ানো রসুনের কোয়া খান। এতে আপনার অনেক উপকার হবে।
এছাড়াও এটি আপনাকে অনেক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে। যেমন-
অ্যালিসিন নামক একটি উপাদান রসুনে পাওয়া যায়, যা পুরুষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও রসুনে সেলেনিয়াম, ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে। এগুলোর কারণে পুরুষের দুর্বলতা দূর হয় মূল থেকে। পোড়া রসুন খেলে আমাদের রক্তচাপের ভারসাম্যও বজায় থাকে। ডাক্তাররাও সাধারণত উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন কারণ এটি খেলে আপনার রক্তচাপ কমে যায়।
আপনি যদি পেটের সমস্যায় অস্থির থাকেন, তাহলে এই অবস্থায় অবশ্যই পোড়ানো রসুন খান। প্রতিদিন দুই কোয়া পোড়া রসুন খেলে পেট সবসময় সুস্থ থাকে।
খালি পেটে পোড়া রসুন খাওয়া আপনার পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পারে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, যার কারণে পেটের ব্যাকটেরিয়ার সমস্যা কমতে পারে। রোজ পোড়ানো রসুন খেলে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও বমির মতো সমস্যা দূর হয়।
খালি পেটে পোড়া রসুন খাওয়া শুধু আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে না, এটি খেলে আপনার ওজনও দ্রুত কমে যায়। পোড়ানো রসুনের স্থূলতা বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দ্রুত স্থূলতা কমাতে পারে। এগুলি ছাড়াও, এটির ব্যবহারে আপনার বিপাক বৃদ্ধি পায়, যা আপনার শরীরে দ্রুত ক্যালোরি পোড়াতে পারে। ওজন কমাতে চাইলে পোড়ানো রসুন খান।
উল্লেখ্য, গরমকালে রসুন বেশি খাওয়া উচিৎ নয় কারণ রসুনের প্রভাব গরম। এছাড়াও নতুন কোনও কিছু শুরু করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না যেন।
No comments:
Post a Comment