দুধ ঠাণ্ডা হোক বা গরম, রয়েছে তাদের নিজস্ব উপকারিতা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 13 August 2023

দুধ ঠাণ্ডা হোক বা গরম, রয়েছে তাদের নিজস্ব উপকারিতা


দুধ ঠাণ্ডা হোক বা গরম, রয়েছে তাদের নিজস্ব উপকারিতা

প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৩ আগস্ট: আপনিও যদি প্রতিদিন দুধ পান করেন, তাহলে আপনার মনেও নিশ্চয়ই প্রশ্ন এসেছে যে, ঠান্ডা দুধ স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী নাকি গরম দুধ? দুধকে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং পটাসিয়ামের অন্যতম স্বাস্থ্যকর উৎস হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।

যদিও বেশিরভাগ মানুষ গরম দুধ পান করতে পছন্দ করেন, তবে কেউ কেউ ঠান্ডাও পছন্দ করেন। খাদ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জনা সিং এর মতে, দুধ ঠান্ডা হোক বা গরম, দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই দুই ধরনের দুধেরই নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে। আপনার ঠান্ডা দুধ পান করা উচিৎ নাকি গরম দুধ, তা সম্পূর্ণভাবে ঋতু এবং সময়ের উপর নির্ভর করে।

কেউ কেউ দুধ পান করতে একেবারেই পছন্দ করেন না, তবে শরীর সুস্থ রাখতে এটা খুবই জরুরি। একজন ব্যক্তিকে প্রতিদিন কমপক্ষে এক গ্লাস দুধ পান করতে হবে। এতে  হাড়ের পাশাপাশি পেশীও মজবুত হয়।

কোন দুধ ভালো, ঠান্ডা না গরম?

দিনের বেলায় বা গরমে ঠান্ডা দুধ পান করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এতে শরীরের তাপ কম হয় এবং শরীর ভিতর থেকে ঠাণ্ডা হয়। যদি আপনি শীতকালে রাতে দুধ পান করতে চান, তবে আপনি গরম দুধ পান করতে পারেন। গরম দুধ শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে।

খাদ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জনা সিংহের মতে, দুধ একটি সম্পূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও পটাসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। 

গরম দুধের উপকারিতা -

ডাঃ সিং বলেছেন যে, গরম দুধ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি সহজে হজম হয়। গরম দুধ পান করলে ডায়রিয়া, গ্যাসের মতো হজমের সমস্যা এড়ানো যায়। এটি ঘুমের উন্নতি ঘটাতে পারে, কারণ এতে ট্রিপটোফ্যান নামক একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে যা ঘুম প্ররোচিতকারী রাসায়নিক সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন তৈরি করে ও আপনাকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে।

ঠান্ডা দুধের উপকারিতা -

ডাঃ সিং এর মতে, ঠাণ্ডা দুধে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, যার কারণে এটি কয়েকবার পান করলে পেটের জ্বালা এবং অ্যাসিডিটির উপশম হয়। শুধু তাই নয়, এতে ইলেক্ট্রোলাইট থাকার কারণে এটি সারাদিন শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। তবে শোবার সময় এটি এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি হজমের সমস্যাগুলিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং কাশি, সর্দির মতো সমস্যাও হতে পারে। ঠান্ডা দুধ প্রাকৃতিক ফেস ক্লিনজার হিসেবেও পরিচিত।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad