পণের দাবীতে মূক ও বধির বধূকে শ্বাসরোধ করে-পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা!
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৭আগস্ট: পণের দাবীতে এক মূক ও বধির গৃহবধূকে গলা টিপে খুন এবং গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামী, শশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বসতপুর গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
বধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় বছর আগে পিংকি দাসের সঙ্গে অমল দাসের বিয়ে হয়। অমল দাস পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। তাদের তিনটি নাবালক সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ে হওয়ার তিন মাস পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হত পিংকি দাসের ওপর। এমনকি পণের দাবীতে বুধবার শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।
অভিযোগ, বাবা-মা বিয়ের সময় নগদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্র সহ যাবতীয় জিনিসপত্র দেওয়া সত্ত্বেও আরও পণের দাবীতে পিংকির ওপর অত্যাচার চালাতো স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি। তাদের দাবী মতো টাকা দিতে না পারায় একাধিকবার তাকে মারধর এমনকি ঘর থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ বুধবার পিংকিকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। বধুর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেওয়া হয় তার পরিবারকে। বধূকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খুনের চেষ্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন পিংকির বাপের বাড়ির লোকজন।
পিংকির বাবা কিশান দাস বলেন, 'বিয়ের সময় অনেক কিছু দেওয়া সত্ত্বেও ওরা আমার মেয়ের ওপর অত্যাচার করত। গতকাল তো মেরে ফেলারই চেষ্টা করে। পুলিশের কাছে আবেদন, ও্যা যেন কঠোর শাস্তি পায়।'
এই প্রসঙ্গে বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চায়নি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা জানিয়েছে অভিযোগ জমা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
No comments:
Post a Comment