টাইফয়েডের চিকিৎসায় খুবকলা - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 27 August 2023

টাইফয়েডের চিকিৎসায় খুবকলা


টাইফয়েডের চিকিৎসায় খুবকলা

প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ২৭ আগস্ট: আয়ুর্বেদে রোগ নিরাময়ের জন্য অনেক ধরণের ভেষজ ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে একটি হলো খুবকলা। আয়ুর্বেদে এর বীজ কাশি, হাঁপানি, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। খুবকলার বীজ দেখতে সরিষার মতো। এর স্বাদ খুবই গরম। বীজ স্বাদে তীক্ষ্ণ। খুবকলা খাকসি, খাকসির, বন্য সরিষা এবং বেনারসি রাই নামেও পরিচিত। অনেকেই খুবকলাকে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করেন।

খুবকলার বীজ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি ভিটামিন এবং মিনারেলের ভালো উৎস। খুবকলায় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এর পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এগুলি স্যালাড  হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ক্ষিদে বৃদ্ধিতে উপকারী -

ক্ষিদে কমে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। এর জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের টনিক খান। আপনি যদি চান, আপনি খুবকলা দিয়ে আপনার ক্ষিদে বাড়াতে পারেন। খুবকলায় ক্ষুধা-উদ্দীপক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।

টাইফয়েডে সহায়ক -

টাইফয়েডের চিকিৎসায় আয়ুর্বেদে খুবকলা ব্যবহার করা হয়।  টাইফয়েড হলে দুইভাবে খুবকলা খেতে পারেন। প্রথমতঃ, জল ও দুধে রান্না করে নিতে পারেন। দ্বিতীয়ত, খুবকলা ও শুকনো আঙ্গুর একসঙ্গে খেলেও টাইফয়েডে উপশম হয়। এর জন্য, শুকনো আঙ্গুরের উপর প্রচুর বীজ রেখে প্যানে সেঁকে নিন।  এটি খেলে উপকার পাবেন।

পেটে শক্তি যোগায় -

খুবকলার বীজ পেটে শক্তি যোগায়। এটি দুধের সাথে খেলে শরীর শক্তি পায়। সেই সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতাও দূর হয়।

দুর্বলতা অপসারণ করে -

খুবকলা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি  নিয়মিত খেলে আপনি শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। যদি আপনার ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়, তবে শুকনো আঙ্গুর বা দুধের সাথে খুবকলা খেতে পারেন।

কাশি ও হাঁপানি - 

এক্ষেত্রেও খুবকলা খাওয়া যেতে পারে। সাধারণ জ্বরেও খুবকলা উপকারী। এটি গলা, ফুসফুসে জমে থাকা কফ বা শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে। গরম জলে শুকনো আঙ্গুর ও খুবকলা রান্না করে খেলে সর্দি, কাশি ও হাঁপানিতে উপশম হয়।  খুবকলা কফের কারণে উদ্ভূত সমস্যাও দূর করে।

শিশুদের শারীরিক বিকাশে উপকারী -

খুবকলা অপুষ্টির মতো রোগ নিরাময়েও ব্যবহৃত হয়। আপনার শিশু যদি দুর্বল হয়, তার শারীরিক বিকাশ ঘটছে না, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে খুবকলা দিতে পারেন। শিশুদের  দুধের সাথে খুবকলার গুঁড়ো দিলে তাদের শারীরিক বিকাশ ত্বরান্বিত হয়।

পাইলসের ক্ষেত্রে উপকারী -

ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাব পাইলসের প্রধান কারণ। এই সমস্যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। আপনি চাইলে পাইলসেও খুবকলা ব্যবহার করতে পারেন। খুবকলার বীজের গুঁড়ো বানিয়ে জল বা দুধের সাথে খেতে হবে। এটি কয়েকদিন খেলে অর্শের সমস্যায় আরাম পাওয়া যাবে। এছাড়াও কলেরা, হাম, গুটিবসন্ত এবং প্রদাহের মতো রোগ নিরাময়েও আয়ুর্বেদে খুবকলা ব্যবহার করা হয়।

খুবকলার স্বাদ বেশ গরম। তাই গর্ভবতী মহিলাদের এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আয়ুর্বেদ অনুসারে যাদের শরীর পিত্ত প্রকৃতির, তাদেরও খুবকলা এড়িয়ে চলা উচিৎ। গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের শুধুমাত্র একজন ডাক্তারের পরামর্শেই খুবকলা খাওয়া উচিৎ।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad