পণের বলি বধূ! হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক শক দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে খুন
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২১ আগস্ট: পণ না দিতে পাড়ায় এক গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে সারা শরীরে ইলেকট্রিক শক দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার শ্রীপুর এলাকায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হল মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার খরা গ্রাম এলাকার বাসিন্দা হাইমুদ্দিন শেখের মেয়ে জুলি পারভীন(২০)- এর সাথে সামাজিক মতে বিয়ে হয় গত ৮ মাস আগে শ্রীপুরের যুবক জাহাঙ্গীর আলমের। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগর ৫০ হাজার টাকা, সোনার অলংকার সহ অন্যান্য ঘর সাজানোর সরঞ্জাম দিয়েছিলেন গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা বলে জানা যায়। পুনরায় আবার এক লক্ষ টাকা পণের দাবী করে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বলে অভিযোগ।
গৃহবধূর বাবা হাইমুদ্দিন শেখ পণ না দিতে পাড়ায় গৃহবধূকে মাঝেমধ্যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি সদস্যরা বলে অভিযোগ। শনিবার রাতেও পুনরায় গৃহবধূকে পণের দাবীতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা হাত-পা বেঁধে সারা শরীরে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মারধোর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
রবিবার সকালে গৃহবধুর পরিবারের সদস্যদের ফোন করে তার স্বামী জানায় যে, তার মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি ছুটে যায় তার মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে। এরপর সেখানে গিয়ে দেখেন তাদের মেয়ের সারা শরীরে ক্ষতবিক্ষত অবস্থা এবং ফুটো রয়েছে। তা দেখেই মৃত গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা অনুমান করছেন তাদের মেয়েকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে অত্যাচার করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরপর মৃত গৃহবধূর পরিবারের তরফে অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় রবিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা যায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment