লকআপে কয়েদির মৃত্যু! কাঠগড়ায় পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, ০৫ আগস্ট, মুর্শিদাবাদ : লকআপে কয়েদিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে কয়েদির মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়। অভিযোগ, ৩ দিন আগে সিংগার গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে গ্রেফতার করে নবগ্রাম থানার পুলিশ। এদিকে রাত ৮টার দিকে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ যুবককে লকআপে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এ নিয়ে তোলপাড় হয়েছে।
পুলিশ মৃতদেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ জনতা বাধা দেয়। গ্রামবাসীরা পুলিশের সামনে বসে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। এরপর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় লোকজন নবগ্রাম থানায় ভাঙচুর চালায়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, চুরির অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়েছে। কিন্তু গ্রেফতারের পরও তাকে আদালতে তোলা হয়নি।
নিহতের বড় ভাই অভিযোগ করেন, পুলিশ তার সামনেই তার ভাইকে মারধর করে, এতে গোবিন্দর মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবগ্রাম থানা এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা নবগ্রাম থানায় ভাঙচুর চালায়।
পুলিশের ভূমিকায় পুরো এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, গোবিন্দ যদি সত্যিই চুরির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাকে কেন আদালতে তোলা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিহতের পরিবার জানায়, চুরির অভিযোগে যুবককে নবগ্রাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর সেখানে তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। বিক্ষুব্ধ জনতা নবগ্রাম থানার আশেপাশে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
শুক্রবার বেহালার মর্মান্তিক ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। এদিন সরনিল সরকার নামে ৭ বছরের এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদে শোরগোল পড়েছিল।
কয়েক মাস আগে নরেন্দ্রপুরে পুলিশ হেফাজতে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবীর অভিযোগ পরিবারের। নরেন্দ্রপুর থানার তদন্তকারী আধিকারিক অর্ণব চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বজনরা। পরে ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment