গায়ের রং কালো ছিল বলে কাজ পাচ্ছিলেন না মিঠুন, এরপরে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন মহাগুরু!
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ৯আগস্ট: মিঠুন চক্রবর্তীর ডিস্কো ড্যন্সার ছবিতে তার নাচ ও অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন সকলেই। তবে তার সাফল্যের পথ খুব একটা সহজ ছিল না। ক্যারিয়ার শুরুর দিকে তাকে রীতিমত লড়াই করতে হয়েছিল। পেটে খিদে, হাতে কোনও কাজ ছিল না। তার ওপর গায়ের রং, দাঁতের গঠন এসব নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগছিলেন, কিন্তু কিভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি?
মিঠুনের গায়ের রং ছিল শ্যামবর্ণ। তার দাঁতগুলোও খুব একটা সুন্দর ছিলনা। হাসলেও পর্যন্ত তাকে খারাপ দেখাত, এ কথা অনেকেই বলতেন। তাই মিঠুন যখন হাসতেন, মুখ বন্ধ করে হাসতেন। নিজের চেহারা নিয়ে তার মনে এক হীনম্মন্যতা তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিলেন শাবানার মা।
শাবানার মা-বাবা থাকতেন জানকী কুটির-এ। শাবানা এক সাক্ষাৎকার এ বলেন, তাদের কুটিরে সব ধরনের মানুষ আসতেন, যারা মুম্বই শহরে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য লড়তেন। আমার মা-বাবা সব সময় তাদের উৎসাহ দিতেন। আমার কলেজের অনেক বন্ধুর বম্বেতে থাকার জায়গা ছিল না। তারা এসে আমাদের সঙ্গেই থাকত।
এই অভিনেত্রী মিঠুন সম্পর্কে আরও বলেন, মিঠুন ওর বেরিয়ে-আসা দাঁতগুলো নিয়ে খুব সচেতন থাকত। মুখ বন্ধ করে হাসত। গায়ের রং কালো ছিল বলে তা নিয়েও সঙ্কোচ ছিল ওর। কিন্তু আমার বাবা-মা ওকে এত উৎসাহ দিয়েছিল যে, ওর সঙ্কোচ, দ্বিধা কেটে গিয়েছিল। হীনম্মন্যতা দূর হয়েছিল। এটা খুবই সাধুবাদ দেওয়ার মতো বিষয় ছিল।
সাম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তী তার জীবনের ফেলে আসা দিনের কথা সম্পর্কে মিঠুন নিজেও জানিয়েছিলেন, মুম্বই শহরে তাঁর কঠিন দিনগুলোর কথা। তিনি বলেছিলেন, আমি কষ্টের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি, তাই চাই না আর কেউ সেই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাক। সকলকেই সংগ্রাম করতে হয়, কিন্তু গায়ের রঙের জন্য বছরের পর বছর আমাকে প্রত্যাখ্যান সইতে হয়েছে।
তিনি আরও জানান তাকে খালি পেটে শুয়ে থাকতে হয়েছে, ঘুমোনোর জন্য কেঁদেছি। সেই কারণেই চাই না, আমার বায়োপিক হোক। এটা কাউকে অনুপ্রাণিত করবে না, বরং মানসিকভাবে সকলকে আহত করবে, তাদের স্বপ্নপূরণের ইচ্ছেটাকে নষ্ট করে দেবে। এভাবেই তিনি তার কর্মজীবনের কথা জানাতে গিয়ে ইমোশনাল হয়ে পড়েন।
No comments:
Post a Comment