খুন নাকি আত্মহত্যা! হোটেল থেকে উদ্ধার বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা, ০৬ আগস্ট, হুগলি : হোটেল থেকে উদ্ধার নবনিযুক্ত বিজেপি মণ্ডল সভাপতির ঝুলন্ত দেহ। বিজেপি নেতার নাম সুদীপ ঘোষ। হুগলি জেলার ধনিয়াখালির কল্যাণীর একটি হোটেল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি হুগলি জেলার গুরাপের গুরবাড়ি এলাকায়। কয়েকদিন আগে তিনি হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি কর্তৃক ধনিয়াখালি ব্লকের ১৯৭ নং মণ্ডল বিজেপি সভাপতি নিযুক্ত হন। প্রয়াত নেতা সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং এখন তার মৃত্যুর পরে পরিবারের সদস্যরা খুনের সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন।
কল্যাণীর হোটেলে পাওয়া গেল বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ। তবে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে কল্যাণীর জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাবা সুফলচন্দ্র ঘোষ জানান, শনিবার ফেরার কথা বলেছিলেন। এরই মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় সুদীপ প্রায়ই বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু, তিনি কখনও ভয় পাননি। এমতাবস্থায় আত্মহত্যার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না।
বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার জানিয়েছেন, তাঁর মৃত্যু নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুদীপ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুরবাড়ি পঞ্চায়েত গ্রাম থেকে প্রার্থী ছিলেন। মৃত বিজেপি নেতার স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে এখনও শোকে স্তব্ধ।
স্ত্রী জানিয়েছেন, সুদীপ তার জীবনের বিপদের আশঙ্কা তার কাছে প্রকাশ করেছিল। অঞ্জলি আফসোস করেন যে তিনি তার স্বামীর রাজনীতি ছাড়ার কথা শোনেননি। এই মৃত্যুর পেছনের রহস্য দেখছেন তারা।
মৃত বিজেপি নেতার স্ত্রী অঞ্জলি ঘোষ বলেন, “সুদীপ বলতেন, রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের জীবনের জন্য ভয় পান। আমি তাকে রাজনীতি ছেড়ে দিতেও বলেছি। কিন্তু তিনি রাজি হননি। সুদীপের কোনও শত্রু ছিল না। সুদীপের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী বলেও মনে হচ্ছে। আমার স্বামী কোনওভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। পুলিশের উচিৎ ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা।”
সুদীপের মা নিভা ঘোষ বলেন, "বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেটি বলেছিল। শীঘ্রই ফিরে আসবে। গতকাল ফোনে কথা হয়েছিল। আমাকে বলল মগরায় আছে। আজ সকালে বাড়ি ফিরবেন বলে জানায় সে। পুলিশ এসে জানায়, ছেলেটি আর নেই।"
No comments:
Post a Comment