বোরকা পরে মেট্রোয় যাতায়াত করেন রচনা! কেন জানেন ? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 16 August 2023

বোরকা পরে মেট্রোয় যাতায়াত করেন রচনা! কেন জানেন ?

 


বোরকা পরে মেট্রোয় যাতায়াত করেন রচনা! কেন জানেন ?


 প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৬ আগস্ট: বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান রচনা ব্যানার্জীর জনপ্রিয়তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক আগেই বিদেশে ছড়িয়েছে। টলিউডের এই নায়িকা বিগত ১০ বছর ধরে দাপটের সঙ্গে জি বাংলা দিদি নাম্বার ওয়ানের রাশ সামলাচ্ছেন। সেই সঙ্গে একাই নিজের সংসারে দেখভাল করেন তিনি একা মা হিসেবে নিজের একমাত্র ছেলেকে মানুষ করেছেন রচনা, তার জন্য কিছু কম স্ট্রাগল করতে হয়নি তাকে।


ব্যস্ততম শুটিং শিডিউল সামলেও রচনা সব সময় তার ছেলেকেই আগে প্রায়োরিটি দিয়েছেন। ছেলে প্রণীল বসু রচনার একমাত্র অবলম্বন। ছোট থেকেই ছেলেকে কড়া নজরে রেখেছেন তিনি। এমনকি কড়া মা হিসেবে টলিউডের অন্দরেও তার ইমেজ রয়েছে। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানের একটি এপিসোডে আবারও তা প্রমাণ হয়ে গেল।


সাধারণ মানুষের ধারণা থাকে তারকারা তাদের সন্তানকে খুবই আদরে মানুষ করেন। তারা যা চায়, তাই পায়। বাবা-মায়ের বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় বেশ ঠাটেবাটে মানুষ হয় তারকা সন্তানরা। কিন্তু রচনার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একদমই সেরকম নয়। দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এর আগেও তিনি তার ছেলেকে নিয়ে কথা বলেছেন। তার কথায় উঠে এসেছে কীভাবে ছেলেকে সামলাতে তাকে হিমশিম খেতে হয়।


দিদি নাম্বার ওয়ানের সাম্প্রতিক এপিসোডে সুদীপা চ্যাটার্জী প্যারেন্টিং নিয়ে কিছু অজানা তথ্য ফাঁস করেন। সুদীপা জানিয়েছেন, “আমার আর রচনাদির মেকআপের ঘর পাশাপাশি ছিল। দিদির সেই ঘরে একটা বোরখা টাঙ্গানো থাকত। একদিন আগ্রহের বশে একজনকে জিজ্ঞেস করি এখানে এই বোরখাটা ঝুলছে কেন? তখন জানতে পারি রৌনককে পড়ানোর জন্য, ওকে বেশি সময় দেওয়ার জন্য বিশেষ পন্থা বার করেছে দিদি।


রচনা আসলে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর জন্য বোরখা পরে মেট্রো করে কালীঘাট স্টেশনে আসতেন। মেট্রো স্টেশনে তার জন্য গাড়ি দাঁড় করানো থাকত। তিনি সেই গাড়িতে চেপে তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছতেন ছেলেকে পড়তে বসানোর জন্য। শুটিং শেষ করার পর যাতে এক মুহূর্ত অতিরিক্ত দেরি না হয় তার জন্য এই উপায় বের করেছিলেন রচনা। এভাবে দীর্ঘদিন তিনি সাধারণ মানুষের ভিড়ে বোরখার আড়ালে লুকিয়ে যাতায়াত করেছেন।


সুদীপার কথা শুনে নস্টালজিক হয়ে পড়েন রচনা। তার চোখ ছলছল করে ওঠে। সুদীপা রচনার কাছে আশীর্বাদ হিসেবে তার মাতৃত্বের ৫০ শতাংশ চেয়ে নিয়েছেন। যাতে তিনি তার একমাত্র সন্তান আদিদেবকে সেইভাবে মানুষ করতে পারেন। রচনার ছেলে এখন কৈশোরের গণ্ডি পেরিয়ে যৌবনের পথে পা বাড়িয়েছে। এখন মা হিসেবে তার স্ট্রাগলটা আরও বেড়েছে, এমনটাই মনে করেন রচনা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad