ভারী বৃষ্টি! শহরে ঢুকল জল, তিস্তায় জারি লাল সংকেত
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৫ আগস্ট: রাতভর অবিরাম ভারী বৃষ্টি। শুক্রবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে করলা নদীর জল ঢুকে পড়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড, নেতাজিপাড়া পরেশ মিত্র কলোনী এলাকায়। জলমগ্ন বেশ কিছু বাড়ি। সমস্যায় বহু মানুষ। করলা নদীর পাশে স্থায়ী বাঁধ না থাকার কারণেই নদীর জল বেড়ে গিয়ে ঢুকে পড়েছে, তাতেই এই বিপত্তি।
গত চব্বিশ ঘন্টা ধরে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরের সব কয়টি জেলাতেই চলছে ভারী বৃষ্টি। গত ২৩ ঘন্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৩ মিলিমিটার, পার্শ্ববর্তী শিলিগুড়িতে ২২৩ মিলিমিটার, মালবাজার ৭১.১০ মিলিমিটার। পাহাড় সহ সমতলে লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলার তিস্তা, জলঢাকা সহ বিভিন্ন নদীর জলস্তর বাড়ছে।
শুক্রবার সকালে জলপাইগুড়ির ফ্লাড ওয়ার্নিং অথরিটি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জলঢাকা নদী সংলগ্ন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক, মেখলিগঞ্জ, এবং দমোহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তা নদীর অববাহিকায় লাল ও হলুদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
পাহাড়ে ভারী বৃষ্টির প্রভাব পড়ছে সমতলের নদীগুলোর ওপর। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমার বিভিন্ন পাহাড়ী ঝোরা গুলোতে হড়পা বানের আশঙ্কা রয়েছে এই কারণে। এর সঙ্গে ওদলাবাড়ীতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ থেকে বাড়তি ৬০২৮.৭৯ কিউসেক জল ছাড়ার কারণে শুক্রবার বিকেলের দিকে তিস্তা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে সেচ দফতর সূত্রে খবর।
সেচ দফতর সূত্রে আরও খবর, দোমহনি থেকে বাংলাদেশ বর্ডার অসুরক্ষিত এলাকায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি সুরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। অপরদিকে জলঢাকা এনএইচ ৩১ সুরক্ষিত এবং অসুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সর্তকতার পাশাপাশি মেখলিগঞ্জেও হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment