জিপিএফের টাকা তুলতে চুল ঘুষ! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 9 August 2023

জিপিএফের টাকা তুলতে চুল ঘুষ!

 


জিপিএফের টাকা তুলতে চুল ঘুষ! 



 

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ আগস্ট: দীর্ঘদিন ধরে মিলছিল না জিপিএফের (জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড) টাকা। আর এতেই বিরক্ত হয়ে‌ নিজের সব চুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন একজন অবসরপ্রাপ্ত মহিলা নার্স। জিপিএফের টাকা পেতে সিভিল সার্জনের নামে চুল কেটে ফেলেন তিনি। এরপরই ঘুম ভাঙে স্বাস্থ্য দফতরের, শুরু হয় এএনএম-এর জিপিএফ তোলার প্রক্রিয়াও। বলা হচ্ছে দু-একদিনের মধ্যে তিনি জিপিএফের টাকাও পেয়ে যাবেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের শাজাপুরের। 


যিনি চুল কেটেছেন, তিনি শাজাপুর জেলা সদরের স্বাস্থ্য বিভাগের একজন নার্স ছিলেন। ওই নার্স বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জিপিএফের টাকার পরিমাণ নিয়ে চিন্তিত। বিষয়টি নিয়ে অনেকবার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদেরও জানিয়েছি। কিন্তু আমার কথা শোনা হয়নি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জেলা হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারেও নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। এখানে কর্মরত সিভিল সার্জন ডাঃ ময়নার স্বেচ্ছাচারীতা হাসপাতালে তুঙ্গে।


সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে হাসপাতালের প্রাক্তন ওই নার্স বলেন, "আমার জিপিএফ তোলার ছিল। ৪ মাস আগে আমি ফর্মটি পূরণ করেছিলাম কিন্তু এখন পর্যন্ত আমি আমার জিপিএফের টাকার পরিমাণ পাইনি, আমি হাসপাতালের ডাঃ রাজকুমার স্যারের সাথে দেখা করতে থাকি, তিনি বলতেন, 'আপনি টাকা দেওয়া-নেওয়া করলে সিভিল সার্জন স্যার এবং আমি আপনার টাকা ৪ দিনের মধ্যে বের করে দেব'। এর জবাবে অবসরপ্রাপ্ত নার্স সিভিল সার্জনের নামে চুল কামিয়ে ও দান করে বলেন- 'এই আমি দিয়ে দিলাম, এখন আপনি আমার টাকা দিন।'


নার্সের কথায়, "আজ পর্যন্ত আমি আমার টাকা পাইনি এবং এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছি। আজ আমি সিভিল সার্জন ডাঃ ময়নার নামে চুল দিয়ে দিয়েছি।"


ওই নার্স ডাক্তার সম্পর্কে বলেন, "এর আগেও টাকা লেনদেনের ঘটনায় এমন একটি মামলা আটকে গিয়েছিল। আমার খুব বিরক্ত, কিন্তু বিচার পাচ্ছি না। আমি বিচার চাই।" পাশাপাশি এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন শাজাপুর জেলা হাসপাতালের ভীমরাও আম্বেদকর ট্রমা সেন্টারের সিভিল সার্জন ডাঃ ময়না।


তিনি বলেন, "আমি এ বিষয়ে চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'একজন নার্স আছেন, তিনি আমাদের জিপিএফ তোলার আবেদন করেছিলেন। তার জিপিএফ অ্যাকাউন্ট নম্বর মিলছিল না, যার জন্য আমরা আগে ট্রেজারিকে একটি চিঠিও লিখেছিলাম। আমরা এই বিষয়ে ভোপালের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি, দু-এক দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্ট নম্বর সঠিক হলেই নার্সের জিপিএফ তুলে দেওয়া হবে।"

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad