বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে 'একে-৪৭' উপহার প্রাক্তন তৃণমূল নেতার! ছবি ভাইরাল হতেই আলোড়ন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 30 August 2023

বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে 'একে-৪৭' উপহার প্রাক্তন তৃণমূল নেতার! ছবি ভাইরাল হতেই আলোড়ন



বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে 'একে-৪৭' উপহার প্রাক্তন তৃণমূল নেতার! ছবি ভাইরাল হতেই আলোড়ন



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ৩০ আগস্ট : প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রিয়াজুল হক তার প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে তার স্ত্রীকে 'একে-৪৭ রাইফেল' উপহার দিয়েছেন।  এ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।  আসলে, সোমবার রিয়াজুল তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন যাতে তাকে একে-৪৭ হাতে দেখা গেছে।  এ নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি ও সিপিআইএম-এর নেতারা তার বিরুদ্ধে তালেবান শাসনের প্রচারের অভিযোগ তোলেন।  রিয়াজুল হক ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এই পোস্টটি মুছে দেন।


 প্রকৃতপক্ষে, একে-৪৭ রাইফেলগুলি বেশিরভাগ সামরিক এবং আধাসামরিক অভিযানের সময় ব্যবহৃত হয়।  এমন পরিস্থিতিতে প্রাক্তন তৃণমূল নেতার স্ত্রীর হাতে এই অস্ত্র দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মানুষ।  সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এর পেছনে রিয়াজুলের উদ্দেশ্য কী?  নিজের কর্মকাণ্ডের স্বপক্ষে রিয়াজুল বলেন, "তার স্ত্রীর হাতে 'খেলনা বন্দুক' ছিল।  এটি একটি আসল একে-৪৭ রাইফেল ছিল না। আমরা বেআইনি কিছু করিনি।  আমার স্ত্রীর হাতে একটি খেলনা বন্দুক ছিল।  আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিথ্যা।"



 রিয়াজুলকে ডেপুটি স্পিকারের ঘনিষ্ঠ মনে করা হয়

 এই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা ডেপুটি স্পিকার এবং রামপুরহাট বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়।  ক্রমবর্ধমান বিতর্ক দেখে পদটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।  কারণ অনেকেই এটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।  লোকেরা ভেবেছিল এটি একটি আসল বন্দুক, কিন্তু তা নয়।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াজুল হক একসময় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রামপুরহাট-১ ব্লকের সভাপতি ছিলেন।  তবে কয়েক মাস আগে তিনি পদত্যাগ করেন।



অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবী জানিয়েছে বিজেপি।  বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "রিয়াজুল এই বন্দুক কোথা থেকে পেল তা তদন্ত হওয়া উচিৎ।  তার ফেসবুক পোস্ট দেখেছি।  তিনি প্রাক্তন তৃণমূল নেতা এবং রাজ্যের ডেপুটি স্পিকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী।  এই ধরনের একটি পোস্ট কি বার্তা পাঠায়?  এটা কি তালেবান শাসনের প্রচার করছে না?  তারা কি পরবর্তী প্রজন্মকে জিহাদী হতে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে?"  একই সঙ্গে, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)ও এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসনের অবিলম্বে হস্তক্ষেপের দাবী করেছে।  বীরভূমের সিপিআইএম নেতা সঞ্জিব মালিক বলেছেন, 'শাসক দলের অবিলম্বে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে অস্ত্র প্রদর্শন বন্ধ করা উচিৎ।'


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad