অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া বাড়িয়ে দেয় অ্যালঝাইমারের সম্ভাবনা
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ৭ আগস্ট: আপনি যদি মিষ্টি খাবার খেতে পছন্দ করেন, তবে এই খবরটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও আপনার স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করতে পারে। আজ আমরা মিষ্টি খাওয়ার কিছু অপকারিতার কথা বলবো।
স্থূলতা বাড়ায় -
আজ প্রতি দ্বিতীয় ব্যক্তি স্থূলতার সমস্যায় পড়ছেন। এটি সবচেয়ে সাধারণ কিন্তু গুরুতর সমস্যা। এটি অনেক রোগের জন্ম দেয়। আমরা যদি বেশি মিষ্টি খাই, তাহলে আমাদের শরীর লিপোপ্রোটিন লাইপেজ তৈরি করতে শুরু করে, যা আমাদের কোষে চর্বি জমা করে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায় -
অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য এতটাই বিপজ্জনক যে, এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, এমনকি হার্ট স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। মিষ্টি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল বাড়ায়, যার কারণেও এই সমস্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
অ্যালঝাইমারের সম্ভাবনা বাড়ে -
অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এটি মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এই অবস্থায় মস্তিষ্কে সঠিক পরিমাণে গ্লুকোজ পৌঁছায় না এবং মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে।
শরীর অলস হয়ে যায় -
মিষ্টি খেয়ে আমরা ক্যালোরি ছাড়া আর কিছুই পাই না। যদিও কিছু সময়ের জন্য আমরা শরীরে এনার্জি অনুভব করি, কিন্তু কিছুক্ষণ পর সেই এনার্জিই অলসতায় পরিণত হয়। যা আমাদের শরীরের জন্য ঠিক নয়। অবস্থা দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক হতে পারে।
বয়সের প্রভাব তাড়াতাড়ি দেখা যায় -
অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে বয়সের আগেই বুড়ো দেখাতে শুরু করে। অত্যধিক মিষ্টি খাওয়া শরীরে একটি প্রদাহজনক প্রভাব তৈরি করে, যার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি, বার্ধক্য এবং বলিরেখার সমস্যা দেখা দেয়।
ইমিউন সিস্টেমের জন্য বিপজ্জনক -
আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য মিষ্টিকে ভালো মনে করা হয় না। যখন আমরা খুব বেশি মিষ্টি খাই, তখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে এবং আমরা তাড়াতাড়ি অসুস্থ হতে শুরু করি।
ফ্যাটি লিভার হতে পারে -
অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে আমাদের লিভারকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যার কারণে লিভারে প্রভাব পড়ে এবং শরীরে লিপিডের গঠন বৃদ্ধি পায়। ফলে ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment