স্নান সেরে উঠেই সিঁথিতে সিঁদুর পড়েন? মঙ্গলের পরিবর্তে অমঙ্গল ডেকে আনছেন না তো!

স্নান সেরে উঠেই সিঁথিতে সিঁদুর পড়েন? মঙ্গলের পরিবর্তে অমঙ্গল ডেকে আনছেন না তো! 

প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১৮ আগস্ট: স্নান সেরে উঠেই সিঁথিতে সিঁদুর দিচ্ছেন? জানেন এতে মঙ্গল হচ্ছে, নাকি ঘোর অমঙ্গল? কি বলছে বাস্তুশাস্ত্র? ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী স্বামীর মঙ্গল কামনায় বিবাহিত হিন্দু মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর লাগিয়ে থাকেন। তাছাড়া হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বিবাহিত নারীর প্রতীক সিঁদুর। সাধারণত স্নান সেরে উঠেই সিঁথিতে সিঁদুর লাগান বাড়ির বউরা। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এর ফলে উপকারের বদলে সর্বনাশ হচ্ছে কিনা! বাস্তুশাস্ত্র মতে, বিবাহিত মহিলাদের স্নান বা চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিঁদুর পড়া উচিৎ নয়। এরকম করলে মহিলাদের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। 

বলা হয় বাস্তু অনুযায়ী সব কাজ ঠিকভাবে করতে পারলে জীবন থেকে নেগেটিভ এনার্জি দূরে সরে গিয়ে পজেটিভ এনার্জির আগমন ঘটে। এমনকি বাড়ির সমস্ত কাজ করার সময় বাস্তু অনুযায়ী করলে জীবনের নানান বিপত্তি দূর হয় তবে আজ থেকে এই প্রতিবেদনে কিছু বাস্তু ভুল সম্পর্কে জানব যেগুলি অজান্তেই প্রতিনিয়ত করে চলেছেন অনেকেই। যেমন-

স্নানের পর বাথরুমের মেঝে নোংরা রেখে বেরিয়ে আসবেন না। স্নানের পর একটা শুকনো কাপড় দিয়ে মেঝে মুছে ফেলুন এবং বাথরুমের সব জিনিস ঠিক জায়গায় রাখুন। নোংরা বাথরুম জীবনে ক্ষতি করতে পারে।

বাথরুমে কখনও খালি বালতি রাখবেন না। বালতিতে সবসময় পরিষ্কার জল ভরে রাখুন। কোনও কারণে বালতিতে পরিষ্কার জল ভরে রাখতে না পারলে বালতিটি উল্টে রাখুন। না হলে আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।

অনেক সময় জামাকাপড় ধোয়ার পর বালতিতে অবশিষ্ট জল রেখে দেওয়া হয়। বাস্তু বলছে, এটা অত্যন্ত অশুভ। বালতিতে কখনই নোংরা জল জমিয়ে রাখবেন না, এর ফলে ঘরে নেগেটিভ এনার্জি বাড়বে এবং অশুভ শক্তির প্রভাবে সংসারে দুঃখ ও অশান্তি মাথা চাড়া দেবে।

স্নানের পর কখনও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করবেন না। বাস্তু অনুসারে স্নানের পর নেইল কাটার, ব্লেড বা রেজার ব্যবহার করা উচিৎ নয় বরং এগুলির কাজ শেষ করে তবে স্নানে যাওয়া উচিৎ।

বিবাহিত মহিলারা স্নানের পর বা চুল ধুয়ে এসে তখনই সিঁথিতে সিঁদুর লাগাবেন না। অন্য কোনও কাজ সেরে কিছুক্ষণ পরে তবে সিঁদুর পড়ুন। না হলে মহিলাদের ওপর চরম অশুভ প্রভাব পড়তে পারে, তাদের মনে খারাপ চিন্তা উদয় হতে পারে। এছাড়াও এমন কর্মকাণ্ডে সংসার থেকে সুখ ও শান্তি দূরে সরে যাবে। পারিবারিক কলহ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।

প্রসঙ্গত প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে সিঁদুরের ব্যবহার ও গুরুত্ব উল্লেখ। হিন্দু ধর্মে স্বামীর দীর্ঘজীবন বয়ে আনতে সিঁদুর ব্যবহার করেন বিবাহিত মহিলারা। সাধারণত সিঁদুরের রং লাল বা মেটে রঙের হয়ে থাকে। এই রং দাম্পত্য জীবনের চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া এই রং শক্তি ও ভালোবাসার প্রতীক হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। তাই সর্বদা নিয়ম মেনে সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়াই ভালো এতে সকলেরই মঙ্গল হবে।