টাকা দিয়ে চাকরি! গ্রেফতার ৪ শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৭ আগস্ট, কলকাতা : টাকার বিনিময়ে চাকরি নেওয়ায় ৪ শিক্ষককে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ। নিয়োগ কেলেঙ্কারির মামলায় এই প্রথম চাকরি কেনা চার শিক্ষককে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি অর্পণ চট্টোপাধ্যায় ৪ শিক্ষককে আদালতে ডেকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃত চার শিক্ষক মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের বাসিন্দা। তাদের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, চার অযোগ্য শিক্ষক সিবিআইয়ের কাছে স্বীকার করেছেন যে তারা ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এর পরে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন।
সিবিআই চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ৪ জন শিক্ষককে। কিন্তু চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে নাম কেন? বিচারপতির জিজ্ঞাসা। এরপর বিচারপতি চার অযোগ্য শিক্ষক জহিরুদ্দিন শেখ, সেহগাল হুসেন, সিমার হুসেন ও সৌগত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। বিচারপতি তাদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠান। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এবারই প্রথম অযোগ্য শিক্ষকদের গ্রেফতার করা হল। এর পরেও কি এই ধারা অব্যাহত থাকবে? একটা বড় প্রশ্ন উঠেছে। যা নিয়ে একপক্ষের আইনজীবীদের মনে প্রশ্ন রয়েছে। তবে অপর পক্ষের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, গ্রেফতার না হলে মামলাটি টিকে থাকত না। সব মিলিয়ে প্রথমবারের মতো নিয়োগ দুর্নীতিতে অযোগ্য চার শিক্ষককে গ্রেপ্তারে তৎপর হয়েছে রাজ্য।
'ঘুষ খাইয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?' বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিশেষ সিবিআই আদালত। অভিযুক্তদের কেন সাক্ষী দেখানো হলো? প্রশ্ন আদালতের। 'পার্থ, কুন্তল টাকা চাইতে যায়নি, এরাই টাকা নিয়ে চাকরি চুরি করেছে', আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন নামঞ্জুর, সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবী, নিয়োগে দুর্নীতির নেটওয়ার্ক কীভাবে ছড়িয়েছে, কাকে টাকা দিয়েছে, পুরো চক্র কীভাবে চলছে এবং অযোগ্য শিক্ষকদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা জানতে তাদের সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে। প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলে, এরা নিজেরাই চাকরিটি 'কিনতে' টাকা দিয়েছে। তাই দুর্নীতির কারণে এসব শিক্ষকও সমান দুষ্ট। তাই তাদের সাক্ষী হিসেবে নয়, অভিযুক্ত হিসেবে সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
No comments:
Post a Comment