সুচিত্রা সেনের খোলা পিঠে হঠাৎ চুমু কেন খেয়েছিলেন বলিউডে ধর্মেন্দ্র
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৪ আগস্ট: সুচিত্রা সেন আজও বাঙালির কাছে মহানায়িকা তিনি। যতদিন তিনি স্ক্রিনে ছিলেন একাই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন টলিউডের বক্স অফিসে। বাংলা সিনেমা অসম্পূর্ণ সুচিত্রা সেনকে ছাড়া। তিনি মানুষের হৃদয়ে রয়ে গিয়েছেন চিরন্তন সুন্দরী হিসেবেই। আর একই ভাবে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সুচিত্রা সেনকে এখনও মনে রেখে দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্র।
১৯৬৬ সালেই একটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন বলিউডের হি ম্যান ধর্মেন্দ্র ও বাংলার মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। ছবিটির নাম ছিল মমতা। যেটি উত্তর ফাল্গুনীর হিন্দি রিমেক ছিল। যার পরিচালক ছিলেন অসিত সেন। ওই ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মহানায়িকা। সুপর্ণা নামের এক চরিত্রে ছিলেন তিনি। যার হিরো ছিলেন ধর্মেন্দ্র। আবার সুপর্ণার মা দেবযানীর চরিত্রেও ছিলেন সুচিত্রা। ওই ক্ষেত্রে তার বিপরীতে ছিলেন অশোক কুমার।
আর এই মমতা ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েই সুচিত্রা সেন এবং ধর্মেন্দ্রর বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। আর সেই বন্ধুত্ব এখনও পযন্ত রয়ে গেছে। তাই আজও মাঝেমধ্যেই মহানায়িকার সঙ্গে কাটানো পুরনো দিনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেতা। চলতি বছরেও সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করেন তিনি।
সেরকমই একটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল মহানায়িকার খোলা পিঠে চুমু খাচ্ছেন ধর্মেন্দ্র। আর এই ঘটনা মমতা ছবির শুটিং চলাকালীন ঘটেছিল। যদিও এটা নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টিও হয়েছিল। রীতিমতো খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল কিংবদন্তি অভিনেতা। আসলে সেই সময় এভাবেই বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ করতেন বিনোদন দুনিয়ার তারকারা।
বেশ কয়েক বছর আগে এক নামী সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, ‘সুচিত্রা সেন ছিলেন একজন অসাধারণ অভিনেত্রী। তিনি চোখ, ঠোঁট, মুখের শিরা-উপশিরা ব্যবহার করেও যে অভিনয় করতে পারতেন সেটা আমায় বিস্মিত করেছিল। তিনি ভ্রু তুলেই অনেক কিছু বুঝিয়ে দিতেন। ক্ল্যাইম্যাক্সের সময় আদালতে ওনার মৃত্যুর দৃশ্য আমার আজও মনে আছে। সেকথা ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়। এত নিখুঁত অভিনয়ও করা যায়? আমি আজও ভাবি।
তিনি আরও বলেছিলেন, আমি অতীতে নন্দা, নূতনের মতো কালজয়ী অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে সুচিত্রা সেন ছিলেন একেবারে ভিন্ন। ক্লাসি ছিলেন তিনি। যেমন সুন্দরী, তেমন গাম্ভীর্য ছিল তার। আর তেমনই প্রতিভাবান ছিলেন তিনি
No comments:
Post a Comment