শিক্ষিকার নির্দেশে মুসলিম সহপাঠীকে মার - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 26 August 2023

শিক্ষিকার নির্দেশে মুসলিম সহপাঠীকে মার

 


 শিক্ষিকার নির্দেশে মুসলিম সহপাঠীকে মার

 


প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ আগস্ট : একটি পাবলিক স্কুলের এমন একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যা দেখে সবাই অবাক। ভিডিওতে দেখা যায়, একজন শিক্ষিকা ক্লাসরুমে একটি চেয়ারে বসে আছেন।  তার সামনে একজন নিষ্পাপ ছাত্র দাঁড়িয়ে কাঁদছে।  ক্লাসে বসে থাকা শিক্ষার্থীরা একে একে শিক্ষিকার নির্দেশ মেনে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীকে চড় মারছে।  এই ভিডিওতে যে ছাত্রটিকে মারা হয়েছে সে মুসলিম সম্প্রদায়ের। হিন্দু সম্প্রদায়ের সহপাঠীদের মুসলিম ছাত্রকে মারার নির্দেশ দেন ওই শিক্ষিকা। সাধারণ মানুষ বিষয়টি জানতে পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমশ ভাইরাল হতে থাকে এই ভিডিও।  ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগরের। ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রেসকার্ড নিউজ।



 বিষয়টি খুবই গুরুতর।  এই ভিডিওতে শিক্ষক বিদ্বেষের এমন অত্যাচার, যা দেখে ক্ষুব্ধ সবাই।  মুজাফফরনগরের মনসুরপুর থানা এলাকার অন্তর্গত দিল্লী-দেরাদুন হাইওয়েতে অবস্থিত খুব্বাপুর গ্রামের পাবলিক স্কুলের এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।


 

 ভিডিওতে দেখা চেয়ারে বসা মহিলার নাম ত্রিপ্তা।  পাবলিক স্কুলের শিক্ষিকা হওয়ার পাশাপাশি তিনি স্কুলের ম্যানেজারও।  ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এই শিক্ষিকা এক ছাত্রকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে ক্লাসের ছেলেমেয়েদের দিয়ে তাকে থাপ্পড় মারতে বলে। এমনকি শিশুরাও তার শিক্ষিকার নির্দেশ মেনে চড় মারতে শুরু করে।  সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে শিক্ষক বিদ্বেষের অত্যাচারের মুখোমুখি হচ্ছে এক নিরীহ ছাত্র।


নিরীহ ছাত্রের একটাই দোষ যে সে মুসলিম সম্প্রদায়ের।  সে শুধু তার ম্যাডামের বিদ্বেষের শিকার হচ্ছে।  একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা বলছেন, তার সন্তানের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে।  তিনি কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে চান না।  তার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  তার সমস্ত ফি স্কুল ফেরত দিয়েছে।  এখন তিনি চান না তার সন্তানরা সেখানে লেখাপড়া করুক।  একইসঙ্গে এ ঘটনায় ভাইরাল ভিডিওর ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


 

 মুজাফফরনগর স্কুলে এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।  শনিবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিএসএ অফিসে পৌঁছাবেন।  উভয় পক্ষকে অর্থাৎ স্কুল ব্যবস্থাপনা ও ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়েছে।  পুলিশও বিষয়টি তদন্তে নিয়োজিত রয়েছে।


 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad