গ্রামের মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক! ঘরে তালা দিয়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার
নিজস্ব সংবাদদাতা, ০৬ আগস্ট, মালদা : পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তৃণমূল নেতার। গ্রামবাসীরাও জানত। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও ক্ষোভ ছিল, কিন্তু তৃণমূল নেতাকে হাতেনাতে ধরা যায়নি। অবশেষে শনিবার মহিলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতাকে দেখে গ্রামবাসীরা তাকে ঘরে তালা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
তিনি একসময় মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনাটি মালদা জেলার রাতুয়ার। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুজনেই বিবাহিত। দীর্ঘদিন ধরে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
শনিবার, তৃণমূল নেতা আগের মতো গ্রামে পৌঁছলে গ্রামবাসীরা তাদের ঘিরে ফেলে এবং প্রথমে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে এবং পরে মারধর করে। পরে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে। ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শাসক দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস। রতুয়া-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি পরিতোষ সিনহা বলেন, “তৃণমূল নেতারা তাদের গার্লফ্রেন্ড ছাড়া থাকতে পারে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনা সবাই দেখেছেন।"
তিনি বলেন যে, "তার গার্লফ্রেন্ডের বয়স তখন ২৫-২৬ বছর। তার অন্য কোনও গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা জানিনা। আসলে তৃণমূল নেতাদের গার্লফ্রেন্ডরা একটা ব্যাঙ্ক। এখানে কাটমানি জমা হয়। আমি মনে করি তৃণমূল থেকে শীর্ষ পর্যন্ত সব নেতারই গার্লফ্রেন্ড আছে।"
বামপন্থীরাও এই ঘটনাকে নিয়ে মজা করেছেন। সিপিএমের রতুয়া-১ ব্লক লোকাল কমিটির সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বলেন, "তৃণমূলের ওই নেতার বয়স ৫৫ বছর পেরিয়ে গেছে। তারও একটি গার্লফ্রেন্ড আছে। আসলে তারা দলের বড় নেতাদের জন্য লবিং করছেন। গোটা পার্টি এমন লোকে ভরপুর।"
যদিও তৃণমূলের জেলা নেতা দেবপ্রিয় সাহা বলছেন, "দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি দেওয়া হবে।" তিনি বলেন, “তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হবে। আইন সবসময় আইন মেনে চলবে।" তিনি বলেন, "দল কোনও ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না।"
No comments:
Post a Comment