বন্যা-ত্রাণ-দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার! বরুই পঞ্চায়েত হাতছাড়া শাসকের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 18 August 2023

বন্যা-ত্রাণ-দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার! বরুই পঞ্চায়েত হাতছাড়া শাসকের


বন্যা-ত্রাণ-দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার! বরুই পঞ্চায়েত হাতছাড়া শাসকের




নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৮ আগস্ট: বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতিতে শিরোনামে উঠে আসা বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেস-সিপিআইএম জোটের দখলে, তৃণমূলকে দুর্নীতির জবাব দিয়েছে মানুষ, দাবী জোট নেতৃত্বের। মানুষ বিরোধী আসনে বসিয়েছে তারা বিরোধীদের ভূমিকা পালন করবে, পাল্টা তৃণমূল।


বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতি কাণ্ডের প্রভাব, পঞ্চায়েত হাত ছাড়া তৃণমূলের। কংগ্রেস- সিপিএম জোটের দখলে গেল পঞ্চায়েত। কঠোর পুলিশ নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হল বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। 'বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতির শিকড় উপড়ে ফেলল মানুষ', দাবী জোট নেতৃত্বের। জোটের প্রধান এবং উপ-প্রধান নির্বাচিত হতেই বাঁধনহারা উল্লাসে মাতলেন কর্মী সমর্থকরা। 


প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর বন্যা-ত্রাণ, দুর্নীতি কাণ্ডে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম। দুর্নীতির দায়ে জেল খেটেছিলেন তৃণমূল পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহা। প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এখনও ওই পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আর্তনাদ শোনা যায়। 


সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বন্যা-ত্রাণ দুর্নীতি ইস্যুকেই হাতিয়ার করেছিল বিরোধীরা। আর সেই ইস্যুতেই বাজিমাত। ২৬ টি আসন বিশিষ্ট বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০ টি আসনে জয় লাভ করে কংগ্রেস, ৬ টি আসনে সিপিআইএম, ১ টিতে নির্দল। অন্যদিকে ৯ টি আসন যায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। চলতি মাসের ৯ তারিখ বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ছিল বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতে। তবে জোটের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীদের সংঘর্ষে সেই প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। কংগ্রেস এবং সিপিআইএম নেতৃত্বের অভিযোগ, চক্রান্ত করে তৃণমূল প্রক্রিয়া ভেস্তে দিয়েছে।অবশেষে আজ শুক্রবার ওই পঞ্চায়েতে পুনরায় বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। 


অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এদিন মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রধান এবং উপপ্রধান পদে জোটের পক্ষে ভোট পড়ে ১৭টি। জোটের দখলেই যায় পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত দফতরের বাইরে সেই খবর আসতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে কর্মী-সমর্থকরা। জোট নেতৃত্বের দাবী মানুষ দুর্নীতির যোগ্য জবাব দিয়েছে। দুর্নীতির আঁতুড়ঘড় ভেঙে দিয়েছে। এবার উন্নয়ন করাই একমাত্র লক্ষ্য থাকবে তাদের। অন্যদিকে তৃণমূলের সাফাই, তারা মানুষের রায় মেনে নিচ্ছেন। মানুষ বিরোধী আসনে বসিয়েছে তারা বিরোধীদের ভূমিকা পালন করবেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad