সাতসকালে দুটি মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য এলাকায়
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১২ আগস্ট: দুই পৃথক এলাকা থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে। শনিবার সাতসকালে একটি বস্তাবন্দি দেহ ও আরও একটি দেহ উদ্ধার হয় গলার নলি কাটা অবস্থায়।
এদিন সকালে ধূপগুড়ি পুর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের সূর্যসেন কলোনি এলাকায় বাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি মহিলার দেহ এবং সাকোয়াঝোড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকশোভা এলাকায় গলার নলি কাটা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ দুই ঘটনাস্থলে পৌছেই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
সূর্যসেন কলোনি এলাকার মৃতার নাম পুষ্প গাইন, বয়স ৭৩ বছর, তিনি বিদ্যুৎ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন। জানা গিয়েছে, এদিন তাঁর প্রতিবেশীরা রাস্তার পাশে বস্তা ঢাকা অবস্থায় একটি দেহ পরে থাকতে দেখতে পায়। এরপর খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী। এরপর বস্তা সরাতেই দেখা যায় পুষ্পা গাইনের দেহ। তার গলায় এবং মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ এবং প্রতিবেশীদের অনুমান, তাকে খুন করা হয়েছে। মৃতার মেয়ের দাবী, অলংকারের লোভেই তার মাকে কেউ বা কারা খুন করেছে। তবে অবসরপ্রাপ্ত একজন বয়স্ক মহিলার মৃত্যুর পিছনে আসল রহস্য কি রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পার্শ্ববর্তী এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
অপরদিকে মল্লিকশোভা এলাকার মৃতের নাম শান্তি রায়, বয়স ৬৩ বছর। বাড়ির পাশেই বাঁশঝোপের নীচে চা বাগানের ড্রেন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়দের কথায়, নলিকাটা অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এর আগেও শান্তি রায় নিজেই নিজের গলায় ছুড়ি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে দাবী। তবে, এদিন কি হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।
No comments:
Post a Comment