ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করবে পুতিনের ড্রোন সেনা, আকাশ থেকে ঝড়বে 'মৃত্যু'!
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৮ আগস্ট: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার সারা বিশ্বের সেনার ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। ইউক্রেনের ওপর চলমান হামলার শান দিতে এবং ভবিষ্যতে ন্যাটোর বিরুদ্ধে তাদের প্রস্তুতি জোরদার করতে রাশিয়া একটি ড্রোন সেনা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রোস্টেক-এর প্রধানকে রুশ ড্রোন তৈরির গতি বাড়াতে বলেছেন। পুতিন বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে রুশ ড্রোন 'ল্যান্সেট' এবং 'কিউব' খুবই ঘাতক প্রমাণিত হয়েছে। এই দুটি ড্রোনই না কেবল পশ্চিমা ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য ভারী অস্ত্রগুলিকে লক্ষ্য করেছে বরং ধ্বংসও করেছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, বিপুল সংখ্যক নতুন ড্রোন তৈরি হচ্ছে, তবে তা বড় পরিসরে তৈরি করা দরকার। রাশিয়া এসব ড্রোন দিয়ে নতুন সেনাবাহিনী গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন করা হবে হাজার হাজার ড্রোন। ড্রোন দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির কাজই হোক বা যুদ্ধে নিয়ে যাওয়ার কাজই হোক না কেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনী তার বিপুল সংখ্যক সৈন্যকে ড্রোন চালানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উভয় পক্ষই প্রচণ্ডভাবে ড্রোন ব্যবহার করছে। রাশিয়ার হামলাকারী ড্রোনগুলি আগে ইরান থেকে আমদানি করা 'শাহিদ' ড্রোন ছিল। এছাড়াও চীন থেকে হাজার হাজার বিভিন্ন ধরনের ড্রোন আমদানি করা হয়েছে। রাশিয়া এখন নিজেই অনেক ধরনের ড্রোন তৈরি করতে শুরু করেছে। ইউক্রেনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ইউক্রেনের কাছে পশ্চিমা দেশগুলোর অত্যাধুনিক ড্রোন রয়েছে। এই ড্রোনগুলির জন্য ইউক্রেন ক্রেমলিন সহ মস্কোর অনেক ভবনকে নিশানা বানিয়েছে। বিশেষ ধরনের 'বোট ড্রোন'-এর মাধ্যমে ইউক্রেন রাশিয়ান যুদ্ধজাহাজ মুসকোভা এবং একটি রাশিয়ান ট্যাঙ্কারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সফল হয়েছে।
রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনার আর্মির সদর দপ্তর। ওয়াগনার আধিকারিকরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে, তারা শত্রুর ড্রোন নিয়েও গবেষণা করছেন যাতে তারা তাদের ড্রোনকে আরও ভালো করে তুলতে পারে।
No comments:
Post a Comment