বধূকে খুন! পুকুরে উদ্ধার দেহ, গ্ৰেফতার স্বামী
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর, ২৭ আগস্ট: এক বধূকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে অভিযুক্তের শাস্তির দাবীতে থানায় বিক্ষোভ গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনের। ঘটনাকে ঘিরে থানা চত্বরে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার জাগিরবস্তি এলাকায়। মৃত ওই গৃহবধূর নাম তরুনা খাতুন বয়স আনুমানিক ২৫ বছর।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছর আগে তরুনা খাতুনের সাথে ফরিদ আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের এক কন্যা সন্তানও হয়। অভিযোগ, কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকেই তরুনা খাতুনের ওপর অত্যাচার শুরু করে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ নিয়ে একাধিক বার দুই পক্ষকে বসে মিটমাটের চেষ্টা করা হলেও তরুনার ওপর অত্যাচার কম হয়নি বলে অভিযোগ।
এরপর এদিন সকালে তরুনা খাতুনের পরিবারের লোকজনদের জানানো হয় তাদের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর কিছুক্ষণ পর এলাকার একটি পুকুর থেকে তরুনা খাতুন নামে ওই বধূর দেহ উদ্ধার হয়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই থানায় হাজির হন ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজন। অভিযুক্তের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তরুনা খাতুনের পরিবারের লোকজনেরা। ঘটনায় চোপড়া থানার সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত স্বামী ফরিদ আলমকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবী তুলেছেন মৃত ওই গৃহবধূরর পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment