প্রথম গর্ভাবস্থায় কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের থেকে
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১০ আগস্ট: গর্ভাবস্থার সময়টি প্রতিটি মহিলার জন্য খুব বিশেষ। এই সময়ে, মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে, আপনি যদি কাজ করেন অর্থাৎ ওয়ার্কিং ওমেন হন, তবে গর্ভাবস্থার সময়টি আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। কর্মজীবনের ভারসাম্য রক্ষা করা খুবই কঠিন, বিশেষ করে প্রথমবার গর্ভাবস্থায়। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কিছু মহিলা কাজ থেকে বিরতিও নেন। গর্ভাবস্থার এই সময়ে জীবনধারায় কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তনের মাধ্যমে কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। গর্ভাবস্থায় কীভাবে কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখা যায়, আসুন জেনে নিন একাডেমি অফ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানস অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় সভাপতি ডক্টর রমন কুমারের কাছ থেকে।
ডাঃ রমন কুমার বলেন, গর্ভাবস্থার সাথে সম্পর্কিত প্রাথমিক জ্ঞান থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন আসে, গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী, এই ধরনের সমস্ত তথ্য আপনার কাছে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য বই পড়তে পারেন। বাড়ির বড়দের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এছাড়াও, আপনি ইন্টারনেট থেকেও এই সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন।
বমি বমি ভাব এবং বমি
মহিলাদের সাধারণত বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়ার সমস্যা থাকে। সেজন্য খাবারের যত্ন নিন। কিন্তু আপনি যদি খুব বেশি এই সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে এর জন্য আপনাকে চিকিৎসা সহায়তা নিতে হবে।
মাঝে বিরতি নিন
ডাঃ রমন কুমার বলেন, অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে এক জায়গায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতে হয়। এই অভ্যাস দূর করা উচিৎ। গর্ভাবস্থায় নিজেকে সক্রিয় রাখুন। কাজের মাঝে একটু বিরতি নিন। এর মাধ্যমে, আপনিও নিজেকে স্ট্রেস থেকে বাঁচাতে পারবেন।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট
গর্ভাবস্থায় মহিলাদের অনেক মেজাজ পরিবর্তন এবং চাপ থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, ধ্যান খুব সহায়ক হতে পারে। সেজন্য কিছু সময় মেডিটেশন করতে পারেন। এটি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হবে। এটি আপনাকে আপনার মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করবে। আপনি খুশি থাকবেন, মানসিক চাপ কম হবে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য
গর্ভাবস্থায়, বিভিন্ন জিনিস খাওয়ার ইচ্ছা জাগে, তবে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। নাহলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। এটি শুধুমাত্র আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে তা না, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো নয়। তাই যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।
চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি
চরম আবহাওয়ায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন। এই সময় ভারী বৃষ্টি, খুব ঠাণ্ডা জায়গায় বা প্রবল সূর্যালোক রয়েছে , এমন জায়গায় যাওয়া এড়ানো উচিৎ। অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। সমুদ্র সৈকতে বা পাহাড়ি স্থানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। গর্ভাবস্থায় অনেক সময় আপনার শরীর এসব জায়গায় মানিয়ে নিতে পারে না।
ভিড় জায়গায় যাওয়া এড়িয়ে চলুন
ভিড় স্থানে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করুন। মাস্ক পরুন এবং সময়ে সময়ে আপনার হাত ধুয়ে নিন।
হাইড্রেটেড থাকুন
মাঝে মাঝে জর পান করতে থাকুন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে জলের ঘাটতি হলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যা হতে পারে। তাই নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন।
ঘুম চক্র
আপনার ঘুমের চক্রটি ভালো হওয়া উচিৎ এই অবস্থায়। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমান। স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন। এতেও অনেক সময় ঘুম ভেঙে যায়। ভালো মানের ঘুম আপনার মেজাজ উন্নত করে। আপনি কম ক্লান্ত বোধ করেন।
No comments:
Post a Comment