গর্ভাবস্থায় মহিলাদের উচিৎ এই ফল খাওয়া!
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,১৬সেপ্টেম্বর : পৃথিবীর সবচেয়ে সুখের অনুভূতি হল মা হওয়া। গর্ভাবস্থায় গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানের পাশাপাশি মাকেও তার স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। এমতাবস্থায়, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে গর্ভাবস্থার খাদ্য এমন হওয়া উচিৎ যাতে মা সম্পূর্ণ পুষ্টি পেতে পারে। এমতাবস্থায় জামকে গর্ভাবস্থার সেরা খাদ্য হিসেবে দেখা হয়। কালো জাম স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য এবং গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশুর বিকাশের জন্যও পুষ্টির ভাণ্ডার। আসুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া কতটা উপকারী-
বেরি পুষ্টিগুণে ভরপুর:
কালো জাম খুবই পুষ্টিকর। প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাশাপাশি এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং অনেক ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড, যা হাড়ের মজবুতির জন্য প্রয়োজনীয়। জাম প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং ফলিক অ্যাসিড, ফ্যাট, রিবোফ্লাভিন, প্রোটিন এবং সোডিয়ামও প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের এই সমস্ত পুষ্টির প্রচুর প্রয়োজন হয় এবং এই প্রয়োজনটি খাওয়ার মাধ্যমে পূরণ হয়।
গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়ার উপকারিতা:
একজন মহিলা যদি গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন আধ থেকে এক বাটি জাম খান তবে তিনি প্রচুর ক্যালসিয়াম পাবেন। এর পাশাপাশি বেরি খেলে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে। গর্ভাবস্থায় প্রায়ই উচ্চ রক্তচাপের অভিযোগ থাকে। জাম খেলে গর্ভাবস্থায় মায়ের প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা দেখা যায়। জাম খেলে শুধু হজমশক্তিই ভালো হবে না, মেটাবলিজমও বাড়বে।
গর্ভবতী মহিলাদের হার্টের জন্যও জাম ভালো:
গর্ভাবস্থায় জাম খেলে মহিলাদের হার্ট সুস্থ রাখা যায়। যেহেতু জাম খেলে রক্তের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং এর সঙ্গে জাম হৃৎপিণ্ডের নালীগুলিকে নিরাপদ রাখে। এতে গর্ভবতী মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়। গর্ভাবস্থায় জাম খাওয়া গর্ভবতী মহিলার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। তার শরীর মৌসুমী রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম। এতে পাওয়া আয়রন শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করে।
No comments:
Post a Comment