অতিরিক্ত প্রোটিন যে সমস্ত সমস্যার কারণ
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক, ২৫ সেপ্টেম্বর: ফিট এবং ফাইন বা শরীর গঠনের জন্য ব্যয়বহুল ডায়েট, জিম বা ভারী ওয়ার্কআউট রুটিন অনুসরণ করা আজকাল একটি সাধারণ বিষয় । এমনকি অনেকে আকর্ষণীয় দেখাতে সাপ্লিমেন্ট নেয়, তবে তাদের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ বা জিনিস দেখে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ায়। কেউ কেউ শুধুমাত্র প্রোটিনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এটা সত্য যে প্রোটিন আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিন্তু সবকিছুর অতিরিক্ত ক্ষতি হতে পারে।
গবেষণায় জানা গেছে যে অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অনেক সমস্যার শিকার হতে পারে। প্রোটিন আমাদের চুল, ত্বক, মাংসপেশির বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক, তবে তা সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা হলেই।
প্রোটিনের অসুবিধা:
ওজন বৃদ্ধি:
আমরা ওজন কমানোর জন্য প্রোটিন খাদ্যের উপর নির্ভর করে। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের আগে ওজন কমলেও দীর্ঘ সময় তা হয় না। অতিরিক্ত প্রোটিন চর্বি হিসাবে জমা হয় এবং এর কারণে শরীর থেকে অ্যামিনো অ্যাসিড নিঃসৃত হয়। এ কারণে পরবর্তীতে স্থূলতার সমস্যা হতে পারে।
দুর্গন্ধ:
অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রোটিন জাতীয় খাবার গ্রহণকারীদের নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা হয়। এটি ঘটে যখন শরীরটি কেটোসিস নামক একটি বিপাকীয় অবস্থায় যায়। এতে শরীরে একটি রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয় যা মুখ থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
ডায়রিয়া:
অত্যধিক দুধের দ্রব্য খাওয়া যাতে কম ফাইবার উপাদান থাকে তা ডায়রিয়া হতে পারে। খাদ্যতালিকায় ভাজা মাংস, মাছ বা দুধের তৈরি জিনিস বেশি খান, তাহলে আজই এই অভ্যাস পরিবর্তন করুন। খাবারে আঁশের পরিমাণ বাড়ান।
কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ:
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা বেশি প্রোটিন গ্রহণ করেন তাদের বেশিরভাগেরই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে। উচ্চ প্রোটিন খাদ্যে কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবার ত্যাগ করে। বেশি করে জল পান করা উচিৎ।
হার্টের সমস্যা:
উচ্চ প্রোটিন খাদ্যে লাল মাংস, ফুল ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যকে দুর্বল করে। এমন অবস্থায় কোলেস্টেরল বাড়তে থাকে এবং সমস্যা বাড়লে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে। বেশি পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণের ফলে একজন রোগীকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যায় পড়তে পারে।
শরীরে জলের অভাব:
উচ্চ প্রোটিন খাবার শরীর থেকে নাইট্রোজেন এবং জল বের করে দেয় এবং এটি শরীরকে ডিহাইড্রেশনের শিকার করে।
No comments:
Post a Comment