জেনে নিন সর্দির ওষুধ খাওয়া উচিৎ কী না
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,০৭সেপ্টেম্বর : ঠান্ডা লাগার অনেক কারণ থাকতে পারে,কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণকে বিবেচনা করা হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি বা কাশি হয়। এ ছাড়া শরীর ও বাতাসের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণেও সর্দি বা কাশি হয়। আমরা ঠান্ডা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ওষুধ খাই। সর্দি-কাশির ওষুধ খাওয়া কতটা ঠিক বা কত দিন পর সর্দি-কাশির চিকিৎসা শুরু করা উচিৎ, এই প্রশ্নটা মনের মধ্যে থেকেই যায়। আসুন তবে জেনে নেই সর্দি-কাশির ওষুধ খাওয়া কতটা সঠিক এবং কতটা ভুল-
দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের ডাঃ যুগল কিশোর বলেছেন যে আমাদের অগ্রভাগের সিস্টেমে সমস্যা হওয়ার পরে নাক প্রবাহ শুরু হয়। ফ্যারিঞ্জাইটিস এবং ল্যারিঞ্জাইটিসে প্রদাহের কারণে নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি বা ঠান্ডাজনিত অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা চলতে থাকলে তাকে সাইনাসও বলা হয়।
ডাঃ যুগল বলেন, বর্ষাকালে বা আবহাওয়ার পরিবর্তনে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। অথবা শরীরের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে সর্দি বা কাশি হতে পারে। সাধারণত এটি তিন থেকে চার দিনের মধ্যে শেষ হয়। এখন প্রশ্ন আসে সর্দির ওষুধ কখন খাবেন? এ বিষয়ে ডা: যুগল বলেন, সর্দি-কাশির সঙ্গে যদি কফ হয়, তাহলে বুঝবেন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়েছে। এ অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শে নিজের চিকিৎসা করুন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠান্ডার মাধ্যমে টক্সিন বেরিয়ে আসে। যে কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধ খেলে সমস্যা কমার পরিবর্তে বেড়ে যায়। ঠান্ডা লাগার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে সুপারবাগ পরিস্থিতি তৈরি হয়। শরীরে এক সময় অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব না থাকাকে সুপারবাগের অবস্থা বলা হয়। এ ছাড়া সর্দির প্রথম দিনে ওষুধ খেলে প্রদাহ নিরাময় হয়, কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রক্রিয়া খারাপ হয়ে যায়। ডাঃ যুগল বলেন, অবিলম্বে ওষুধ খাওয়ার ভুল পরিহার করুন।
যদি প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা নিরাময় করতে চান, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বিশ্রাম নেওয়া। এ ছাড়া ক্বাথ, গরম জল ও ঘরে তৈরি জিনিস ব্যবহার করুন। দিনে তিনবার ভাপ নিন এবং যতটা সম্ভব আরাম করুন। বিশ্রামের অভাবে শরীরে ব্যথা বা অন্যান্য সমস্যা বাড়তে পারে।
No comments:
Post a Comment