পায়ের ফোলা হতে পারে কিডনি খারাপের লক্ষণ!
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,১৫সেপ্টেম্বর: পায়ের পাতা ফোলা হতে পারে কিডনি ব্যর্থতার লক্ষণ । অতএব, এটি উপেক্ষা করা উচিৎ নয়। আসলে, শরীরের প্রতিটি অঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ, যখনই একটি রোগ আসে, শরীর তার সংকেত দিতে শুরু করে। এগুলো বুঝতে পারলে এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে মারাত্মক রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব হয় । এরকম একটি লক্ষণ হল পা ফুলে যাওয়া, যা নির্দেশ করে যে কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না। এছাড়া শরীরের এসব অংশ থেকেও কিডনি রোগ শনাক্ত করা যায়।
লক্ষণ:
ফোলা পা:
পায়ে বা গোড়ালিতে ফোলা দেখা গেলে তা কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। আসলে, যখন কিডনিতে পর্যাপ্ত সোডিয়াম থাকে না, তখন এটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এক্ষেত্রে পা ফুলে যেতে পারে। সেজন্য এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হওয়া উচিৎ।
প্রস্রাবে ফেনা:
যদি প্রস্রাবে ফেনা বা বুদবুদ তৈরি হয়, তার মানে প্রস্রাবে প্রোটিন বেরিয়ে যাচ্ছে, যা কিডনি ব্যর্থতার লক্ষণ হতে পারে। সেজন্য এই ধরনের উপসর্গ দেখতে পেলেই সতর্ক হওয়া উচিৎ।
ঘন মূত্রত্যাগ:
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়াও কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। তবে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া অন্যান্য রোগের লক্ষণও হতে পারে।
পেশী ব্যথা:
কিডনি যখন তার কাজ ঠিকমতো করতে পারে না, তখন শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এমন অবস্থায় ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ঘাটতি হলে মাংসপেশিতে ব্যথা বাড়ে। এটিও কিডনি বিকল হওয়ার লক্ষণ।
চোখের চারপাশে ফুলে যাওয়া:
কিডনি যখন পুষ্টিকে সঠিকভাবে ফিল্টার করতে পারে না, তখন প্রস্রাবে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বের হতে শুরু করে। এ কারণে চোখের চারপাশের অংশে ফোলাভাব দেখা দেয়।
পায়ে ফোলা দেখলে কী করা উচিৎ :
বেশি করে জল পান করতে হবে। এই কারণে, কিডনি সহজেই শরীর থেকে সোডিয়াম অপসারণ করতে পারে এবং ম্যাগনেসিয়াম পর্যবেক্ষণ করতে পারে। এতে করে কিডনির কার্যকারিতা ভালো থাকবে। প্রায়শই যখন পায়ে ফোলা বা শোথের সমস্যা হয়, তখন লোকেরা জল পান করা কমিয়ে দেয়, যা ভুল। তাই জল পান করা এবং ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিৎ। এটি কিডনির সঠিক কাজ করতে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment