দই এবং য়োগার্টয়ের মধ্যে রয়েছে কী কোনও পার্থক্য ?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,১২সেপ্টেম্বর: প্রোবায়োটিক পাওয়ার ক্ষেত্রে দই এবং য়োগার্টকে সেরা এবং ভাল খাবার হিসাবে ধরা হয়। যদিও বা অনেকেই এই দুইয়ের পার্থক্য বুঝতে পারেন না। অনেকেই বিশ্বাস করেন দই এবং য়োগার্ট দুটোই একই জিনিস। তবে, এটি এমন নয়। দুটোর বৈশিষ্ট্যই বেশ ভিন্ন।
দই এবং য়োগার্ট দুধ থেকে তৈরি হয় । যদিও দুটোরই প্রস্তুতির পদ্ধতি ভিন্ন। দই এবং য়োগার্ট-এর গাঁজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল স্ট্রেন তাদের সামঞ্জস্য এবং গঠনে পার্থক্য সৃষ্টি করে। দই এর টেক্সচার ঢিলেঢালা এবং পরীক্ষা খুবই হালকা। এর গাঁজন প্রক্রিয়া কম নিয়ন্ত্রিত হয়। য়োগার্টকে আরও নিয়ন্ত্রিত গাঁজন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই কারণেই এটি দেখতে কাস্টার্ডের মতো এবং স্বাদে টক।
দই এবং য়োগার্ট দুটোই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী:
দই এবং য়োগার্ট প্রোবায়োটিক, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনের ভাল উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়। এই দুটির গাঁজন প্রক্রিয়া ভিন্ন, তাই তাদের মধ্যে পাওয়া পুষ্টিও ভিন্ন। দইয়ে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন চিনি অর্থাৎ দুধে থাকা ল্যাকটোজকে দই থেকে ভালো করে ভেঙে দেয়। তাই ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার জন্য দই ভাল প্রমাণিত হতে পারে। দইয়ের চেয়ে য়োগার্টয়ে প্রোবায়োটিক বেশি থাকে। আর এই কারণেই এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
প্রোবায়োটিকের উপকারিতা:
প্রোবায়োটিক হল জীবন্ত অণুজীব, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে। দই এবং য়োগার্ট দুটোতেই প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস। প্রোবায়োটিকগুলি অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি, ভাল হজম এবং স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের জন্য উপকারী।
No comments:
Post a Comment