দেশ ভাগের সময় ভাগ হয় এই বইয়েরও
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬সেপ্টেম্বর : ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসটি ভারত ও পাকিস্তান দেশের জন্য অত্যন্ত বিশেষ । একদিকে ভারতীয় জনগণ ১৫ই আগস্ট ব্রিটিশদের দাসত্ব থেকে একটি দেশ মুক্ত করছিল। তাই অন্যদিকে এদেশের একটি বড় অংশ তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছিল। আসলে, সেসময় দেশ ভাগ হয়ে যায়। কিছু লোকের নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনকে এমনভাবে প্রভাবিত করেছিল যে এটি থেকে পুনরুদ্ধার করতে তাদের কয়েক দশক সময় লেগেছিল। তাই দেশ যখন ভাগ হয়, তখন তার সঙ্গে মানুষ, জিনিসপত্র এবং বইও ভাগ হয়েছিল।
প্রথমত, এই বিভাজন লক্ষাধিক মানুষের সুখ ও জীবনকে ভাগ করেছে। সেই সঙ্গে কপি-বই, টেবিল-চেয়ার, টাইপরাইটার, পেন্সিল, পাগড়ি, বাল্ব, কলম, লাঠি, বাঁশি, রাইফেলের মতো অনেক ছোটখাটো জিনিস ভাগ করা হয়। এমনকি ব্রিটিশ ভাইসরয়ের বগিগুলোকেও ভাগ করা হয়েছিল। এটি একটি মুদ্রা নিক্ষেপের মাধ্যমে করা হয়েছিল। এ সময় ভারতকে ৬টি ও পাকিস্তানকে ৬টি ওয়াগন দেওয়া হয়। রেলওয়েও দুই ভাগে বিভক্ত। একই সঙ্গে বুলডোজার, ট্রাক ইত্যাদি জিনিসও সমানভাবে বিতরণ করা হয়। কিন্তু এই সবের মধ্যে একটি বইও ভাগ হয়।
আসলে এসব যখন ভাগ করা হচ্ছিল, তখন তার সঙ্গে একটি বইও ভাগ করার কথা হয়। কিন্তু একটা বই কীভাবে দুই জনের মধ্যে ভাগ করা যায় সেটা একটা বড় প্রশ্ন ছিল। এমতাবস্থায় বইটিকে দুই ভাগে ভাগ করার একটাই উপায় ছিল। আশ্চর্যের বিষয় হল এটিও করা হয়েছিল। বিজয়লক্ষ্মী বালাকৃষ্ণান তার 'গ্রোয়িং আপ অ্যান্ড অ্যাওয়ে: ন্যারেটিভস অফ ইন্ডিয়ান চাইল্ডহুডস: মেমোরি, হিস্ট্রি, আইডেন্টিটি' বইতে লিখেছেন যে এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ব্রিটানিকাকে দুই ভাগে ভাগ করে ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত করা হয়েছিল। এর সঙ্গে গ্রন্থাগারে উপস্থিত অভিধানকেও দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। A থেকে K পর্যন্ত অভিধানের কিছু অংশ ভারতে এবং বাকি অংশ পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসবের মাঝে, একটি জিনিস ছিল যা ভাগ হয়নি এবং তা হল মদের ব্যারেল। আসলে, পাকিস্তান মদের ব্যারেল নিতে অস্বীকার করেছিল, কারণ মদ ইসলামে নিষিদ্ধ।
No comments:
Post a Comment