চাঁদে পাওয়া জল কী পান যোগ্য?
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক,১৫সেপ্টেম্বর : চন্দ্রযান-৩ থেকে সমগ্র দেশ সহ বিশ্বের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আসলে, এর আগে এদেশ যখন চন্দ্রযান-১ পাঠিয়েছিল, তখন দেশ জানতে পেরেছিল যে চাঁদে জল থাকতে পারে। সেই সময়ে, চন্দ্রযান চাঁদে বরফের উপস্থিতির কথা বলেছিল, পরে নাসাও এর ভিত্তিতে চাঁদে জলের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এখন চন্দ্রযান-৩ থেকেও আশা করা হচ্ছে যে এটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে জলের প্রমাণ খুঁজে পাবে এবং জল শনাক্ত করতে পারবে। তাই দেশ যদি এবার চাঁদে জল নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করে, তাহলে বিশ্ব দেশের এই গবেষণা অনুসরণ করবে।
তবে চাঁদে জলের প্রত্যাশার বিষয়ে এইও বলা হচ্ছে যে, চাঁদে যে জল বের হবে তা পানযোগ্য হবে না। এমতাবস্থায় কী ধরনের জল থাকবে, সেই জলের ব্যবহার কী হবে এবং জল পাওয়ার বিষয়ে এখন কী বলা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে এবং নাসার একটি রিপোর্ট অনুসারে, কক্ষপথ থেকে পরিচালিত পরীক্ষার ভিত্তিতে বলা হয়েছে যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রচুর পরিমাণে বরফ রয়েছে। আর বরফের প্রমাণ পাওয়া গেলে জলও পাওয়া যাবে। এর আগেও কিছু রিপোর্টে জল নিয়ে কথা হয়েছিল। আগে বলা হচ্ছিল চাঁদে ৬০০ বিলিয়ন কেজি জল থাকতে পারে, যা প্রায় আড়াই লাখ সুইমিং পুলের সমান।
এখন প্রশ্ন হল চাঁদে যে জলের কথা বলা হচ্ছে, তা কি সত্যিই পানযোগ্য হতে পারে? আসলে, চাঁদে সূর্যের দিকে নির্গত প্রোটনগুলি চাঁদের পৃষ্ঠে আসতে থাকে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এর মধ্যে কিছু প্রোটন চাঁদের মাটিতে অক্সিজেন অণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে জলে পরিণত হয়। কিন্তু এই জল পৃথিবীতে পান করার জন্য পাওয়া যায় এবং এই জলও খুবই কম। এর ফল হল চাঁদের মাটি এখনও পৃথিবীর মরুভূমির চেয়ে বহুগুণ শুষ্ক।
চাঁদে পাওয়া জল শুধুমাত্র গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর যখন জল নিয়ে গবেষণা হবে, তখনই জানা যাবে জলের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে? এর পাশাপাশি সৌরশক্তি ব্যবহার করে ইলেক্ট্রোলাইসিসের মাধ্যমে এই জল থেকে অনেক উপাদান আলাদা করে চাঁদে প্রাণের কথা ভাবা যেতে পারে। এ ছাড়া জল নিয়ে আরও অনেক গবেষণায় এর উপাদান থেকে রকেট জ্বালানির জন্য হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি সরবরাহ করা যায় এবং এতে পাওয়া অন্যান্য খনিজ সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment