বিশ্বের এই হাইটেক প্লেনের বিশেষ ব্যবস্থা!
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক,১৭সেপ্টেম্বর : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া G-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে দিল্লি আসেন । আমেরিকান প্রেসিডেন্ট যখনই বিদেশ যান, তখন তার সঙ্গে তার পূর্ণ নিরাপত্তাও যায়। এছাড়াও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যে প্লেনে ফ্লাইট করেন সেই প্লেনে কোনো ধরনের হামলা করা প্রায় অসম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান 'এয়ার ফোর্স ওয়ান'-এর শক্তি ও বৈশিষ্ট্য-
প্লেন কমান্ড সেন্টারে পরিণত হয়:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট-এর বিমানটি আমেরিকায় এয়ার ফোর্স ওয়ান নামে পরিচিত। এই বিমানটি নিজেই একটি ছোট হোয়াইট হাউস। আমেরিকায় যেকোনও ধরনের হামলা হলে এই বিমানটিকে কমান্ড সেন্টারে রূপান্তর করা যেতে পারে, অর্থাৎ উড়ন্ত অবস্থায় প্রেসিডেন্ট সব ধরনের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ দিতে পারেন।
এয়ার ফোর্স ওয়ান এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালসের প্রভাব থাকে না। প্রয়োজন হলে, এটি ওড়া অবস্থায় নিজে থেকে জ্বালানী দিতে পারে।
এয়ার ফোর্স ওয়ানের এমন একটি সুরক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে যে এটি কোনো অবস্থাতেই ভাঙা যাবে না। এমনকি হাজার হাজার ফুট উচ্চতা থেকেও রাষ্ট্রপতি যোগাযোগ করতে পারেন যেকোনও দেশের সঙ্গে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বিশেষ বিমানে একটি স্যুটও রয়েছে, যাতে রয়েছে রাষ্ট্রপতির বড় অফিস এবং সম্মেলন কক্ষ।
এয়ার ফোর্স ওয়ান-এ একটি মেডিকেল রুমও রয়েছে, যেখানে সবসময় একজন ডাক্তার থাকেন যিনি যেকোনও ধরনের সার্জারি বা অপারেশন করতে পারেন। বিমানটিতে দুটি রান্নাঘর রয়েছে, যেখান থেকে একসঙ্গে ১০০ জনকে খাওয়ানো যায়।
এয়ার ফোর্স ওয়ানের পেছনে সর্বদা আরেকটি বিমান থাকে, যাকে ডুমসডে প্লেন বলা হয়। এই প্লেনে রয়েছে পারমাণবিক বাঙ্কার ও কমান্ড সেন্টার। এটি যেকোনও পারমাণবিক হামলা ঠেকাতে সক্ষম।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান নিয়ে তৈরি এয়ার ফোর্স ওয়ান ছবিতে অনেক ধরনের তথ্য উঠে এসেছে, দেখা গেছে এই বিমানে একটি ক্যাপসুলও আছে, হামলা হলে রাষ্ট্রপতি এই ক্যাপসুলে বসে নিরাপদে থাকেন। তবে বলা হচ্ছে, এমন অনেক হাই সিকিউরিটি ফিচার এই প্লেনে থাকতে পারে, যা নিরাপত্তার কারণে ফাঁস করা যাবে না। এ কারণেই নিরাপত্তা প্রযুক্তি সংক্রান্ত এয়ার ফোর্স ওয়ানের তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
No comments:
Post a Comment