বৃহস্পতেশ্বর মহাদেবের আবির্ভাব স্বপ্নে
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,০৮সেপ্টেম্বর : উজ্জয়নী শহরে বাবা মহাকালের এমনই একটি বিখ্যাত শিব মন্দির রয়েছে, যার খ্যাতি বহুদূর। একে বৃহস্পতেশ্বর মহাদেব বলা হয়। শ্রাবন মাসে এই মন্দিরে ভক্তদের ভিড় প্রায় লেগেই থাকে। এখানে সারা দেশ থেকে শিবের ভক্তরা এসে বাবার পূজো করেন। মন্দিরের পুরোহিত পণ্ডিত অলোক শর্মা বলেন, বেদ ও পুরাণে যেভাবে ভগবান বৃহস্পতির রূপ বর্ণনা করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই এই মন্দিরে মূর্তি বিরাজ করছে।
গোলামন্দি এলাকায় দেবগুরু বৃহস্পতির এই স্বয়ম্ভু মূর্তির মধ্যে চারটি বেদ ঋষি রূপে ভগবানের হাতে রয়েছে, যাঁরা ক্রমাগত তাঁর আরাধনা করছেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যাঁদের কুণ্ডলীতে গ্রহ দুর্বল, তাঁরা এই মন্দিরে এসে গুরুদেবের পুজো করলে তাঁদের মনস্কামনা পূরণ হয়। কুণ্ডলীতে গুরু বৃহস্পতির অবস্থান শক্তিশালী হলে সম্পদ ও খ্যাতির পাশাপাশি ব্যক্তি গ্রহের কারণে সৃষ্ট বাধা থেকেও মুক্তি পায়।
কথিত আছে, শিবলিঙ্গ রূপে উপবিষ্ট ভগবান বৃহস্পতেশ্বর মহাদেব এখানে পুরোহিত পরিবারের স্বপ্নে এসেছিলেন। এরপর খননকালে মন্দির থেকে বেদ ও পুরাণে বর্ণিত শিবলিঙ্গ, নবগ্রহ, গণপতি, ভৈরব ও শীতলা মাতার মূর্তি পাওয়া যায়। নিয়ম মেনেই সেসব প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। আর তারপর থেকে এখানে নিরন্তর পূজো চলে।
ভগবান বৃহস্পতিকে সমস্ত দেবতার গুরু এবং চারটি বেদের অধিপতি দেবতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তাই তাঁর পূজো করে অন্য গ্রহের খারাপ প্রভাব এড়ানো যায়। মন্দিরের পুরোহিত পণ্ডিত অলোক শর্মা জানান, সারা বছর মন্দিরে বিশেষ পূজো করা হলেও শ্রাবন মাসে এখানে প্রতিদিন বিশেষ পূজো ও সাজসজ্জা করা হয়। মন্দিরে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার ভগবানের মহা আরতি করা হয়।
দেবগুরু বৃহস্পতির মন্দিরে পাঁচটি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপবাস পালন এবং ঈশ্বরের বিশেষ পূজো করার বিধান রয়েছে। কথিত আছে যে, এই দিনে যদি হলুদ জিনিস যেমন হলুদের টুকরো, বেসন লাড্ডু, ডাল এবং হলুদ কাপড় ভগবানকে দিয়ে পূজো করে নিবেদন করা হয়, তাহলে জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ধন-সম্পদ, বিয়ে, সন্তান-সন্ততি ও ব্যবসায় বিশেষ অগ্রগতি হয়।
No comments:
Post a Comment