প্রতীকী ছবি |
মেয়ের পর মেয়ে হওয়ার আশঙ্কা! খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হল অন্তঃসত্ত্বা বধূকে
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ৩০ সেপ্টেম্বর: কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়াই যেন কাল হয়ে উঠেছিল, আবারও মেয়ে হওয়ার আশঙ্কায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংরুয়া গ্রামে।
আরও অভিযোগ, প্রথমে দেহ ময়নাতদন্ত না করিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বধূর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। খবর জানাজানি হতেই পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ময়নাতদন্তের পর ওই গৃহবধূর মৃতদেহটি তার বাপের বাড়ির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক মাটি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত শাশুড়ি সুলতানা খাতুন ও ননদ মুসকান খাতুন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে কাটিহারের আজিম নগর থানার চান্দপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজির আলমের মেয়ে রেশমা খাতুন (২২)-এর বিয়ে হয় বাংরুয়া গ্রামের বাসিন্দা নুরুল আলির ছেলে সুভান আলির সঙ্গে। বিয়ের সময় মেয়ের বাবা নাজির আলম সাধ্যমত দামী সামগ্রী ও যৌতুক দিয়েছিলেন। তবে পাত্র পক্ষ আরও দুই লক্ষ টাকা দাবী করেছিল। কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিক বাবার পক্ষে ওই টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রেশমার উপর চলত অত্যাচার, এমনই অভিযোগ পরিবারের।
বিয়ের বছর খানেক পর রেশমার কোলে আসে এক কন্যা সন্তান। কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় খুশি হয়নি শ্বশুর বাড়ির পরিবার। অভিযোগ, তারপর থেকেই গৃহবধূর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। জুটত লাঞ্ছনা-বঞ্চনা। শুধু তাই নয়, ওই গৃহবধূকে বাবার বাড়ি থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেন স্বামী ও শ্বশুর। টাকা না নিয়ে আসলে তার পরিণতি মারাত্মক হবে বলেও হুমকি দিতেন শ্বশুরবাড়ি লোকেরা।
রেশমার মা জাকেরা খাতুন জানান, "মুসলিম শরিয়ত মতে তিন বছর আগে তার মেয়ের বিয়ে হয় বাংরুয়া গ্রামে।বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে বাইক, আসবাবপত্র, গয়না ও নগদ অর্থ দিয়েছিলেন ছেলেকে। দেড় বছর আগে মেয়ের কন্যা সন্তান হয়েছে। মেয়ের পুত্র সন্তান না হয়ে কেন কন্যা সন্তান হল?-এই জন্য স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করতো। তার মেয়ে মুখ বুজে সব সহ্য করে নিয়েছিল। এরই মাঝে তার মেয়ে আবার পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামী, শ্বশুর ও দেওরের ষড়যন্ত্রে মেয়েকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিয়েছে।'
ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চেয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করেছেন মেয়ের পরিবার। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে মৃতদেহ পুনরায় কবর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে
No comments:
Post a Comment