পাখিদের কলরবই জানাবে অরণ্যের হাল!
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১৬ সেপ্টেম্বর: কেমন আছে অরণ্য, জানাবে পাখিদের কলরব। ইতিমধ্যে মালদার আদিনা ফরেস্টে বিপুল পরিমাণ পরিযায়ী পাখির দল আসতে শুরু করেছে, যাদের মধ্যে শামুকখোল প্রজাতির পাখির সংখ্যাই বেশি বলে জানিয়েছে বন দফতর। পুজোর মরশুমে এইসব বিদেশি পাখিদের দল মালদার আদিনা ফরেস্টে প্রজনন ঘটাতেই মূলত এসে থাকে। আর এই বিদেশী পাখি দেখতে এখন থেকেই অনেক পর্যটকেরাই ভিড় করছেন আদিনা ফরেস্টে। এইসব বিদেশি প্রজাতির পাখিদের কলরব এখন থেকেই আকর্ষণ বাড়াচ্ছে পর্যটকদের। শুধু পরিযায়ী পাখিই নয়, এই ফরেস্টে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির হরিণও, যা পর্যটকদের মূল আকর্ষণ কেন্দ্র।
মালদা জেলার গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আদিনা ফরেস্ট রয়েছে। মালদা থেকে গাজোল যাওয়ার পথে জাতীয় সড়কের এক পাশ দিয়ে কিছুটা যাওয়ার পরই রয়েছে কয়েক'শ বিঘা জমির ওপর এই আদিনা ফরেস্টটি।
বর্তমানে আদিনা ফরেস্টের একাংশ জুড়ে গাছের মগডালে শামুকখোল পাখির আনাগোনা শুরু হয়েছে। এইসব বিদেশী পাখিরা ইতিমধ্যে বাসা তৈরি করছে, কেউ আবার উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কিছু কম পাখি এসেছে, এমনই দাবী বন দফতরের কর্মীদের। আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল পাখিদের থাকার মত নিরিবিলি পরিবেশে ও বড় বড় গাছ রয়েছে। সেখানেই পাখি ভিড় করে। পাখি দেখার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। শুধু জেলা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিপ্রেমী মানুষেরা আসেন এখানে।
মালদা জেলা বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রজনন করার জন্য মূলত এখানে আসে শামুকখোল প্রজাতির পাখির দল। পুজোর মরশুমে মূলত হিমালয়ের পাদদেশে থেকে মালদার আদিনা ফরেস্টে শামুকখোল প্রজাতির পাখির দল আসে। আগষ্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে সব থেকে বেশি এই বিদেশি প্রজাতির পাখির দেখা মেলে। এখানে পাখিগুলো বাসা তৈরি করে থাকে, ডিম দেয়। বাচ্চা ফুটিয়ে আবার ফিরে চলে যায়।
বন দফতরের কর্তারা জানান, এক একটি বাসায় তিন থেকে চারটি করে বাচ্চা হয়। বাচ্চা একটু বড় হয়ে উড়তে শিখলেই চলে যায় এরা। নভেম্বর মাস থেকে যেতে শুরু করে। প্রতি বছর বন দফতরের উদ্যোগে এই শামুকখোল পাখির সুমারি করা হয়। এই বছরেও পাখি সুমারি করার পরিকল্পনা রয়েছে।
বর্তমানে নিয়মিত পাখিদের দেখভাল ও অন্য কোন সমস্যা যাতে না হয়, সে বিষয়ে নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছেন আদিনা ফরেস্টের বন কর্মীরা।
No comments:
Post a Comment