বিজেপিতে আদি নব্য সংঘাত! প্রকাশ্য রাস্তায় হাতাহাতি, তুমুল উত্তেজনা
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা: মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন ঘিরে ধুন্ধুমার বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। চলল ধস্তাধস্তি থেকে হাতাহাতি। বিজেপির আদি ও নব্য গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বে বুধবার সন্ধ্যায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের হরিতলায় এলাকায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মীরা জেলা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন এদিন।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে বারাসত বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হয়েছেন তরুণকান্তি ঘোষ। এতদিন জেলা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন তাপস মিত্র। চলতি সপ্তাহে বিজেপির জেলা কমিটির পাশাপাশি মণ্ডল সভাপতি পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মণ্ডল সভাপতিদের এই পরিবর্তনকে ঘিরে তুমুল ক্ষোভ তৈরি হয় বিজেপির কর্মী ও মণ্ডল সভাপতিদের একটি বড় অংশের। আর তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটল বুধবার সন্ধ্যায়। প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতির সহ কর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন বারাসতে সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে। চলল তুমুল বিক্ষোভ। বচসা থেকে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। মহিলা নেত্রীরা নিজেদের মধ্যেই মারধরে জড়িয়ে পড়লেন।
বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত সুর রায়, কার্তিক ঘোষ বলেন, 'দলের নিয়ম না মেনেই সাংগঠনিক কমিটির পাশাপাশি মণ্ডল সভাপতি পদে পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রায় ২০টি মণ্ডলে যে সমস্ত সভাপতি করা হয়েছে তাদের অধিকাংশ জনেরই তৃণমূলের যোগ রয়েছে। কী কারণে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করে মণ্ডল সভাপতি করা হল, বুঝে উঠতে পারছি না। এভাবে চলতে পারে না।'
তারা আরও বলেন, '২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পরে যারা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছে তাদেরই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এদিন আমরা জেলা সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষের কাছে জবাব নিতে এসেছিলাম। কিন্তু উনি নেই। আর এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড জেলা সভাপতি তরুণ কান্তি ঘোষ। আমরা চাই এর একটা বিহিত।'
বিজেপির বারাসত সংগঠনিক জেলার সভানেত্রী সৌমিতা রাহা বলেন, 'বিক্ষোভের সময় মহিলা নেত্রীরা নিজেদের মধ্যে মারধরের জড়িয়ে পড়েন। তরুণ কান্তি ঘোষ জেলা সভাপতি হওয়ার পরে মণ্ডল সভাপতি পদে পরিবর্তন করলেন। কেন হল বুঝতে পারছি না। প্রতিটি জায়গাতেই এই কাজ করা হয়েছে।'
এ বিষয়ে তৃণমূলের দাবী, 'গোষ্ঠীদ্বন্দেই জীর্ণ বিজেপি। আগামী দিনে এই দলটি আর থাকবে না। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করবে।'
No comments:
Post a Comment