পিরিয়ড বন্ধ হলেই নিন বিশেষ যত্ন, মারাত্মক রোগের ঝুঁকির কথা বলছেন চিকিৎসকরা
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০১ সেপ্টেম্বর: মহিলাদের মধ্যে রোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে উদ্বেগের বিষয় এবং বয়স বৃদ্ধির সাথে এই ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে পোস্ট-মেনোপজ মানে মাসিক বন্ধ হওয়ার পর্যায়ে। ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সের পরে, মহিলারা হৃদরোগ সহ অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকিতে থাকেন। এ ছাড়া মানসিক চাপ, সামাজিক চাপের মতো অনেক কারণ রয়েছে যা মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য চিকিৎসকরা মহিলাদের নিয়মিত চেকআপ করাতে পরামর্শ দেন। মেনোপজের পরও মহিলাদের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। খাদ্যাভ্যাসে অসাবধানতা বা মৃদু উপসর্গের দিকে মনোযোগ না দেওয়া খুবই মারাত্মক হতে পারে।
পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, মহিলাদের জন্য তাদের স্বাস্থ্যের আরও যত্ন নেওয়া প্রয়োজন কারণ ডাক্তারদের মতে, এই বয়সের পরে, মহিলারা কিছু গুরুতর রোগে ভুগতে পারেন যা সময়মতো শনাক্ত না হলে মৃত্যুও হতে পারে। এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে কিছু কথা।
এগুলো মারাত্মক রোগ হতে পারে
পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর মহিলাদের মধ্যে এমন কিছু রোগ দেখা দেয় যেগুলো সম্পর্কে সহজে জানাও যায় না এবং ততদিনে রোগের তীব্রতা অনেক বেড়ে যায়। আশা আয়ুর্বেদের ডাঃ চঞ্চল শর্মা বলেন, 'পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর প্রায়ই মহিলারা ডায়াবেটিস, হাঁপানি, অস্টিওপোরোসিস (হাড় সংক্রান্ত সমস্যা), স্তন ক্যান্সার, ফাইব্রয়েড (জরায়ুতে পিণ্ড তৈরি) সহ হৃদরোগে আক্রান্ত হন।'
কেন হয় এমন?
ডাঃ চঞ্চলের মতে, অতিরিক্ত চাপ এবং সামাজিক চাপের মতো মানসিক সমস্যার কারণে মহিলাদের মধ্যে হরমোনের পরিবর্তন হতে পারে, যার কারণে তাদের মধ্যে রোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, মহিলাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকাটাও খুবই জরুরি। বিষণ্নতার মতো মানসিক রোগও মহিলাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
এভাবে ডায়েট নিতে হবে
মহিলাদের মধ্যে প্রচলিত রোগ সম্পর্কে কথা বলতে, হৃদরোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য ফল, গোটা শস্য, শুকনো ফল ইত্যাদি খাওয়া শুরু করতে পারেন। এছাড়াও, এই বয়সে, হাড়ের রোগ দেখা যায়, তাই দুগ্ধজাত খাবারগুলিকে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ, যাতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা যায়।
চিকিৎসকরা এই পরামর্শ দেন
মহিলাদের নিয়মিত চেকআপ করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলা উচিৎ। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের পাশাপাশি, নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগব্যায়ামকে আপনার দৈনন্দিন রুটিনের একটি অংশ করুন। এটি আপনাকে শুধু শারীরিক নয় মানসিক রোগের বিপদ থেকেও রক্ষা করবে।
No comments:
Post a Comment