জোটের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল! আশঙ্কাজনক ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৪ সেপ্টেম্বর: জোটের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল। ভরদুপুরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের উপস্থিতিতে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, এবং তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেস-সিপিএম জোট কর্মীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত পরিবারের মহিলা এবং প্রবীণ সদস্যরাও। অভিযোগ অস্বীকার জোটের। ঘটনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের।
আক্রান্ত ৬ সদস্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভাঙচুর করা হয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বাইকও। প্রকাশ্যে ঝামেলার সিসিটিভি ফুটেজ। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনায় গ্রেফতার ৩। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার দাবী জানালেন স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য। যদিও সমগ্র ঘটনা তৃণমূলের চক্রান্ত বলে দাবী জোট নেতৃত্বের। রবিবার দুপুরের ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরগঞ্জ গ্রামে।
ওই এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুরফ রজক সক্রিয় ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। গত ১৫ দিন আগে ওই এলাকারই কংগ্রেস-সিপিএম জোটের কর্মী কুরবান রজকের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়। অভিযোগ সেই ঝামেলার রেশ ধরেই এদিন দুপুরে স্থানীয় জোটের কর্মীরা লাঠি, লোহার রড নিয়ে সুরফ রজকের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে ঢুকে ভাংচুর চালানো হয়। ব্যাপক মারধর করা হয় পরিবারের সদস্যদের। এমনকি মহিলা সদস্যদের কাদায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ি লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইট বৃষ্টি। আগের ঝামেলার জন্য পুলিশের নির্দেশে সুরফ রজকের বাড়ির সামনে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দুই জন সিভিক ভলেন্টিয়ারর মোতায়েন ছিল। অভিযোগ, এই ঝামেলায় তারাও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।ভাঙচুর করা হয় তাদের বাইক।
এই ঘটনায় দুই মহিলা এবং একজন বৃদ্ধ সহ সুরফ রজকের পরিবারের মোট ছয় জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই জন হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি চারজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ঝামেলার খবর পাওয়া মাত্রই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গ্রেফতার করা হয়েছে জোটের তিন কর্মীকে। স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যান। সেখান থেকেই তিনি অভিযোগ করেন, যেহেতু ঐ বুথে সিপিএম হেরে গেছে তাই সেই হার মানতে না পেরে এই সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সাথে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি।
যদিও সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য শেখ খলিলের পাল্টা দাবী, সমগ্র ঘটনা তৃণমূলের চক্রান্ত। এক প্রতিবন্ধী সহ দুই মহিলাকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার বাড়িতে ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ উঠছে তিনি নিজেই বাহুবলি। পিএইচইর জায়গা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল, সুরফ রজকই জোটের কর্মীদের কিছুদিন আগে মারধর করেছিল।
এদিকে সমগ্র ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এসেছে। এখনও থমথমে রয়েছে এলাকা।
No comments:
Post a Comment