সজনে চাষের রোগ-প্রতিরোধ
রিয়া ঘোষ, ১২ সেপ্টেম্বর : সজনে একটি ঔষধি গাছ। এটি মোরিঙ্গা নামেও পরিচিত। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই এর চাষ হয়। সজনে গাছের সমস্ত অংশ আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত হয়। চাষিদের আয়ও বেশ ভালো। সজনে ফুল, ফল এবং পাতা খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং এর বাকল, পাতা, বীজ এবং শিকড় থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। সজনে ফসলে পোকামাকড় এবং রোগের ঝুঁকি খুব কম, তবে কিছু কীট বা রোগ রয়েছে যা ফসলকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। জেনে নিন এসব রোগ থেকে বাঁচার উপায়।
সজনেতে কীটপতঙ্গ ও রোগ ব্যবস্থাপনা
ঝাল পোকা
সজনেতে এই পোকার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। এই পোকা গাছের পাতায় আক্রমণ করে এবং তারপর ধীরে ধীরে পুরো গাছে ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ নিরাময়ের জন্য ডাইক্লোরোভাস সঠিক পরিমাণে জলে গুলে গাছে স্প্রে করতে হবে।
তিমি
গাছপালা তেমাইট মাটির মানের উপর নির্ভর করে। সজনে ক্ষেতে উইপোকার সমস্যা দেখা দিলে ইমিডাক্লোপ্রিড ৬০০ এফএস পানিতে মিশিয়ে মাটিতে স্প্রে করতে হবে। এছাড়াও আপনি প্রতি কেজি বীজ ফিপ্রোনিল শোধন করতে পারেন। আপনি এক কেজি জৈব ছত্রাকনাশক বোভেরিয়া বা মেটারহিজিয়াম অ্যানিসোপলি ১০০ কেজি গোবর সার মিশিয়ে ক্ষেত চাষ করতে পারেন।
চোষা পোকা
রস চোষা পোকা প্রধানত গাছের পাতা খায়। এগুলো থেকে রক্ষা পেতে ৮০ গ্রাম Acetamiprid বা ১০০ গ্রাম Thiamentoxam ৫০০ লিটার জলে মিশিয়ে পুরো ফসলে স্প্রে করতে হবে।
ফল মাছি রোগ
এসব মাছির আক্রমণের কারণে ফল পচতে শুরু করে। এই ফলের উপর মাছি নিয়ন্ত্রণ করতে, আপনি এক লিটার জলে ৫ মিলি ডাইক্লোরোভাস গুলে গাছে স্প্রে করতে পারেন।
মূল পচা রোগ
সজনেতে শিকড় পচা সমস্যা দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য ৫ থেকে ১০ গ্রাম ট্রাইকোডার্মা দিয়ে বীজ শোধন করতে পারেন। এছাড়া জলে কার্বেনডাজিম মিশিয়ে মাটির কান্ডের কাছে ঢেলে দিতে পারেন। এতে সেখানে বেড়ে ওঠা জীবাণু ধ্বংস হয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment