মালয়েশিয়ায় পাড়ি বাংলার কাঠের দুর্গার
পূর্ব বর্ধমান: দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গোৎসব। ১৪ অক্টোবর মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে সূচনা হবে দেবীপক্ষের। এর কয়েক দিন পরেই পুজোর আনন্দে মেতে উঠবেন সকলে। এই দুর্গোৎসব ঘিরে আনন্দের পাশাপাশি একদিকে যেমন বিকশিত হয় বাংলার মৃৎশিল্প, ঠিক তেমনই বিশেষভাবে স্থান পায় বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কাঠের শিল্পকর্মও। তারই প্রমাণ চলতি বছরেও মিলল। পূর্ব বর্ধমান জেলার বিখ্যাত কাষ্ঠশিল্পী সুরঞ্জন সরকারের হাতে তৈরি কাঠের দুর্গা প্রতিমা এই বছর পূজিতা হবেন মালয়েশিয়ায়। মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেওয়ার আগে প্রতিমাটি একবার চোখে দেখতে শিল্পীর বাড়িতে উঠছে পড়ে ভিড়।
সুরঞ্জন সরকারের বাড়ি কাটোয়া মহকুমার আকাইহাট গ্রামে। ৪০ বছর ধরে কাঠের নানা আর আসবাবপত্র তৈরি করে চলেছেন তিনি। যথেষ্টই তাঁর নামডাক। কেবল দেশী নয়, বিদেশিরা ও তাঁর তৈরি আসবাবপত্র কেনেন। তবে এই প্রথমবার শিল্পী সুরঞ্জন সরকার কাঠের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করলেন। মাস তিনেকে অক্লান্ত পরিশ্রমে ২৫ সিএফটির গামার কাঠের উপর এই প্রতিমা তিনি খোদাই করেছেন; উচ্চতা সাত ফুট, দুই ইঞ্চি। দেবীর বাহন সিংহ ও অসুরও রয়েছে এই প্রতিমায়। শিল্পীর হাতে নৈপুণ্য দেখলে চোখ ফেরানো দায়। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও রাধা-কৃষ্ণ ও গণেশ মূর্তি তৈরি করেছেন শিল্পী।
শিল্পী সুরঞ্জন সরকার জানান, মালয়েশিয়া কর্মরত রয়েছেন তাঁর ভাই। সেখানেই ভাইয়ের পরিচিত অবাঙালি এক ব্যবসায়ী দেবী দুর্গার ভক্ত তিনি বাড়িতে পুজো করবেন বলে কাঠের দুর্গা প্রতিমা তৈরীর বরাত দিয়েছেন। সেই সঙ্গেই রাধাকৃষ্ণ ও গণেশ মূর্তির বরাত পেয়েছেন তিনি মালয়েশিয়া থেকেই। তিনটি মূর্তির জন্য দু'লক্ষ টাকা পেয়েছেন শিল্পী সুরঞ্জন সরকার। তিনি বলেন, 'কাঠের অন্য দেবী মূর্তি তৈরি করেছি কিন্তু দুর্গা প্রতিমা এর আগে কখনও তৈরি করিনি, এটাই প্রথম।'
No comments:
Post a Comment