অনেক রোগের প্রতিষেধক মোটা শস্য
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৬ সেপ্টেম্বর: বাজরা, যব (বার্লি) এবং জোয়ার মোটা শস্যের অন্তর্ভুক্ত। এগুলি আগেও এবং আজও আমাদের খাদ্যতালিকায় বিরাজমান। বাজরা, যব এবং জোয়ার অনেক রোগের প্রতিষেধক হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই কারণেই ব্যাপকভাবে এখন এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। ডায়েটিশিয়ান ডাঃ নিকিতা বলেন- বাজরা, যব এবং জোয়ার সবই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
বাজরা -
বাজরা প্রদাহ কমাতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং চিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পরিচিত। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্যও এটি একটি নিরাময়। চিনির মাত্রা ২৭ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সহায়ক বাজরা।
বাজরা হলুদ, সাদা, লাল বা বাদামী রঙের হয়। এটির একটি বিশেষ স্বাদ আছে। এটি পোরিজ, ডাম্পলিং বা রুটি আকারে খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। গ্রামাঞ্চলে গুড় ও দেশি ঘি দিয়ে মুড়িয়ে লাড্ডু বানিয়েও খাওয়া হয়। বাজরার রুটিও তৈরি হয়।
প্রতি ১০০ গ্রাম বাজরায় প্রায় ১১.৬ গ্রাম প্রোটিন, ৬৭.৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১৩২ মিলিগ্রাম ক্যারোটিন পাওয়া যায়। ক্যারোটিন আমাদের চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। প্রোটিন সমৃদ্ধ বাজরা আমাদের হাড় মজবুত করে। এতে উপস্থিত উচ্চ ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং ওজন কমাতেও সহায়ক। এছাড়াও এতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।
যব (বার্লি) -
আজকাল বিদেশে যব অন্যতম প্রধান খাদ্য হয়ে উঠেছে। এতে বিটা গ্লুকান বেশি থাকে। এটি এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার, যা হৃদরোগের জন্য খুব ভাল বলে মনে করা হয়। বিটা গ্লুকান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে সাহায্য করে। এটি একটি সহজলভ্য সস্তা খাদ্য।
জোয়ার -
জোয়ার পুষ্টির একটি বড় উৎস। এতে উপস্থিত অ্যান্থোসায়ানিন এবং ফেনোলিক অ্যাসিড শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ভুট্টা এবং বাজরা থেকে আকারে অনেক ছোট। জোয়ার ভুট্টার মত পপ করেও খাওয়া যায়। এটি গ্লুটেন মুক্ত এবং ওটমিলের একটি ভাল বিকল্প হিসাবে বিবেচিত। এর একটি হালকা স্বাদ আছে। ফাইবারের পাশাপাশি এটি ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং কপারেরও ভাল উৎস।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment