রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে নিয়মিত খান বাদাম ও কিশমিশ
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ১৩ সেপ্টেম্বর: বাদাম এবং কিশমিশ একসাথে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই দুটি জিনিসই ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ। বাদামে ভিটামিন ই এবং ক্যালসিয়াম ভাল পরিমাণে পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে। কিশমিশে প্রোটিন, এনার্জি, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারও রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক ও কপার। কিশমিশ ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সেরও ভাল উৎস। বাদাম ও কিশমিশ একসাথে খেলে আপনি সারাদিন এনার্জেটিক থাকবেন।
বাদাম ও কিশমিশ খাওয়ার সঠিক উপায় -
বাদাম ও কিশমিশ দুটোই সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খালি পেটে বা জলখাবারে খান। বাদাম ও কিশমিশ ভিজিয়ে খেলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যাবে। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কি কি।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে -
বাদাম ও কিশমিশ খেলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। রক্ত চলাচল ঠিক না হলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এটি হার্টের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। তাই রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতে বাদাম ও কিশমিশ একসঙ্গে খান।
হজমের জন্য -
ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে বদহজম হতে পারে। এক্ষেত্রে বাদাম ও কিশমিশ একসঙ্গে খান। এটি গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আরাম দেবে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য -
বাদাম এবং কিশমিশ খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল বলে মনে করা হয়। এই দুটি জিনিস একসঙ্গে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে। বাদাম এবং কিশমিশ খাওয়া শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলও কমায়।
রক্তশূন্যতা দূর করে -
রক্তশূন্যতা অর্থাৎ শরীরে রক্তের অভাব হলে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে বাদাম এবং কিশমিশ খাওয়া উপকারী। কিশমিশ আয়রনের ভালো উৎস। এতে রক্তের অভাব দূর হবে।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।
No comments:
Post a Comment