'পাল্টে দেব আমরা', দেশের নাম বিতর্কে হুঙ্কার দিলীপের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১০ সেপ্টেম্বর, কলকাতা: 'ইন্ডিয়া পাল্টে ভারত হবে, যার পছন্দ হবে না বাইরে যাবে', দেশের নাম বিতর্কে হুঙ্কার বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের। রবিবার সকালে খড়গপুর শহরে ডিভিসি মার্কেটে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, "সব পাল্টাচ্ছে, আর পাল্টে দেব আমরা। কারও বাপের ব্যাটার হিম্মত নেই আটকে রাখবে। ইন্ডিয়া পাল্টে ভারত হবে, যার পছন্দ হবে না বাইরে যাবে। যে ইন্ডিয়া খুঁজবে, ব্রিটেনে গিয়ে খোঁজো। ভারতে কোনও ইন্ডিয়া থাকবে না, ভারত থাকবে।"
তিনি আরও বলেন, "ভারতের বেশিরভাগ শহরের নাম পাল্টে গেছে। আমাদের দেশকে যারা দীর্ঘদিন পরাধীন করে রেখেছিল, তাদের কোনও স্মৃতিচিহ্ন ভারতবর্ষে থাকবে না। কলকাতার রাস্তাঘাটে বহু ব্রিটিশের মূর্তি ছিল। এখন একটা-দুটো যা আছে, সব উপড়ে ফেলব আমরা। মিউজিয়ামে থাকার জিনিস মিউজিয়ামে থাকবে, রাস্তায় থাকবে না। গোলামির কোনও চিহ্ন থাকবে না। ওখানে ভগীরথের মূর্তি থাকবে, শংকরাচার্যর মূর্তি থাকবে।"
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "ভারতবর্ষ একটা ইতিহাস, একটা ঐতিহ্য, একটা পরম্পরা। এসব গুলো যে বোঝেনা সেই এমন কথা বলে।" তিনি বলেন, বাইরে দিলীপ ঘোষ এমন ভাবে কথা বলছেন যেন মাঝেমধ্যে তাঁর নাম সামনে ভেসে ওঠে। এটা বিপর্যয়ের মনোভাব।"
তিনি এও বলেন, "সংবিধান বদল হয়নি অথচ প্রেসিডেন্ট অফ ভারত, প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত হয়ে গেল এটা বেআইনি। সংবিধান যারা মানেন না, বোঝেন না তারা এই মনোভাবে চলছেন। দেশের মানুষ অপেক্ষায় আছেন, লোকসভা নির্বাচনে এদের উৎপাটন করবেন।"
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, "ইন্ডিয়া এবং ভারত- এই দুটো নামেই তো পরিচিত। ইন্ডিয়া কেটে ভারত করতে হবে, ভারত নিয়ে মাতামাতি করতে হবে এগুলো বলে দিচ্ছে বিকল্প যে শক্তি, বিরোধী শক্তি ইন্ডিয়া নাম দিয়েছে, তাতে ভয় পেয়ে এখন প্যানিক রি-অ্যাকশন হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, দেশের নাম ভারত না ইন্ডিয়া রাখা হবে, সেই নিয়ে সর্বত্র বিতর্ক দেখা দিয়েছে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের নৈশভোজে রাষ্ট্রপতির তরফে পাঠানো কার্ডে প্রেসিডেন্ট অফ ভারত লেখা থেকে শুরু হয় এই বিতর্ক। এরপর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সামনে রাখা ফলকেও ভারত লেখা দেখা যায়। এই নিয়ে রাজনীতির অলিন্দ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই দিলীপ ঘোষের এই হুঙ্কারে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
No comments:
Post a Comment