মণিপুরে ফের সহিংস বিক্ষোভ, মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাসভবনে হামলার চেষ্টা
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৮ সেপ্টেম্বর: দুই পড়ুয়া খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত মণিপুর। ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পৈতৃক বাসভবনে হামলার চেষ্টা করে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের চেষ্টা পুরোপুরি নস্যাৎ করে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং পৈতৃক বাড়িতে থাকেন না, যেখানে জনতা হামলার চেষ্টা করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী এখন পরিবারের সঙ্গে সরকারি বাসভবনে থাকেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালেও, বিক্ষুব্ধ জনতা সহিংস প্রদর্শন করে এবং ইম্ফল পশ্চিমে ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) অফিসে ভাঙচুর করে এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
মণিপুরে ফের সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিষয়টির জরুরী বিবেচনা করে বুধবারই রাজ্যটিকে অশান্ত এলাকা ঘোষণা করেছিল বীরেন সরকার। ১৯টি থানা এলাকা ছাড়া সমগ্র মণিপুরকে অশান্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যের দ্রুত অবনতি হওয়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই সিদ্ধান্তের পর মণিপুরে সহিংস বিক্ষোভ তীব্র হয়েছে। বিক্ষুব্ধ জনতা সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। ইম্ফলের হিঙ্গাং এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাসভবনে হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল, এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী বাসভবনের প্রায় ১০০ মিটার আগে জনতাকে থামিয়ে দেয়। উল্লেখ্য, এই বাড়িতে কেউ থাকেন না, তবে বাড়িটি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালেও বিক্ষুব্ধ জনতা ইম্ফল পশ্চিমে ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) অফিসে ভাঙচুর করে এবং বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয়। জুলাই থেকে নিখোঁজ একটি ছেলে এবং মেয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরে ইম্ফলের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। পুলিশ কর্তারা বলেছেন যে, বুধবার রাতেও সাগোলবন্দ, উরিপোক, ইয়াসকুল এবং টেরা এলাকায় বিক্ষোভকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উত্তেজিত জনতাকে দেখে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে এবং ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে।
ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলায় সহিংস বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে আবার কারফিউ জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এসব বিক্ষোভে ৬৫ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, থাউবাল জেলার খংজামে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এদিকে মণিপুর পুলিশ একটি বিবৃতি জারি করেছে যে, অনেক এলাকায় পরিস্থিতি আবার খারাপ হয়েছে, এটি শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জনতা পুলিশের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং একজন পুলিশ কর্মীকে মারধর করে এবং তার অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়।
No comments:
Post a Comment