মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি নাসার! - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday, 9 September 2023

মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি নাসার!

 


মঙ্গলে অক্সিজেন তৈরি নাসার!



প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ০৯ সেপ্টেম্বর : মঙ্গলকে মানুষের পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে দেখা হয়।  আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা এই গ্রহে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।  বিলিয়নেয়ার ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানিও মঙ্গলে মানব বসতি গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।  তবে মঙ্গল গ্রহে অক্সিজেন নেই, মানে সেখানে মানুষ বাঁচতে পারে না।  তবে, এখন নাসা এই চ্যালেঞ্জও কাটিয়ে উঠেছে।


 নাসা তাদের এক ব্লগে জানিয়েছে যে তারা সফলভাবে মঙ্গলে অক্সিজেন প্রস্তুত করেছে।  আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসার পারসিভারেন্স রোভার মঙ্গল গ্রহের চারপাশে ঘুরছে।  নাসা জানিয়েছে, রোভারের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরির জন্য একটি পরীক্ষা করা হয়েছিল, যা পুরোপুরি সফল হয়েছে।  এভাবে অবশেষে লাল গ্রহে অক্সিজেন প্রস্তুত করা হয়েছে।  নাসার এই সফল পরীক্ষা মানুষের জন্য মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের পথ খুলে দিয়েছে।


 কিভাবে অক্সিজেন প্রস্তুত করা হল?


 আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) মাইক্রোওয়েভ-ওভেন আকারের একটি ডিভাইস তৈরি করেছে।  এটি MOXIE নামে পরিচিত।  নাসা জানিয়েছে, মক্সিকে রোভার দিয়ে মঙ্গলে পাঠানো হয়েছে।  এর সাহায্যে মঙ্গলে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে অক্সিজেন তৈরি করা হয়েছে।  মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে যে এই পরীক্ষায় দেখা গেছে যে আমরা মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইডকে অক্সিজেনে রূপান্তর করতে পারি।  এটি আমাদের ভবিষ্যৎ মঙ্গল অভিযানকে আরও সহজ করে তুলবে।


NASA MOXIE এর মাধ্যমে ১২২ গ্রাম অক্সিজেন প্রস্তুত করেছে।  খুব কম মনে হলেও এই ডিভাইসটি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি অক্সিজেন তৈরি করে দেখিয়েছে।  MOXIE এর মাধ্যমে প্রস্তুত অক্সিজেন ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধ বা তার চেয়ে ভালো।  নাসা বলছে, অক্সিজেন শুধু শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য নয়, এটি জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।  নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের মতো জায়গায় ভিত্তি তৈরির জন্য এই প্রযুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


 MOXIE কিভাবে কাজ করে?


 NASA এর রোভারের সাথে পাঠানো MOXIE ডিভাইসটি একটি ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।  এটি মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত কার্বন ডাই অক্সাইড অর্থাৎ CO2 এর প্রতিটি অণু থেকে একটি অক্সিজেন পরমাণুকে আলাদা করে।  এর পরে নিষ্কাশিত অক্সিজেন পরমাণুটি বিশ্লেষণ করা হয়, যাতে এটি কতটা বিশুদ্ধ তা নিশ্চিত করা যায়।  এছাড়া উৎপাদিত অক্সিজেন গ্যাসের পরিমাণও পরীক্ষা করা হয়।  এই প্রযুক্তির মাধ্যমে নভোচারীরা দীর্ঘ সময় মঙ্গলে থাকতে পারবেন।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad