প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 5 September 2023

প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস


প্রাকৃতিক উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস

প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ৫ সেপ্টেম্বর: আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৪০.৯ মিলিয়ন থেকে ৬৯.৯ মিলিয়নে উন্নীত হবে বলে অনুমান করেছে। ডায়াবেটিস শরীরে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অসংযত জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এই রোগের জন্য অনেকাংশে দায়ী।  সঠিক সময়ে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ না হলে অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই এটিকে নীরব ঘাতক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  

আয়ুর্বেদ অনুসারে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নির্ভর করে ব্যক্তির শরীরের প্রকৃতির ওপর। বর্তমান সময়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা প্রয়োজন। আয়ুর্বেদে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পেতে এমন কিছু প্রাকৃতিক জিনিসেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যা আমাদের চারপাশেই রয়েছে। জেনে নিন সেই প্রাকৃতিক জিনিসগুলো কী এবং কীভাবে আমরা সেগুলো থেকে স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারি।

ডায়াবেটিসের প্রধান উপসর্গগুলো হলো - ঘন ঘন প্রস্রাব ও তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধার্ত বোধ, ক্ষত দেরিতে নিরাময়, হাত-পা ব্যথা এবং ত্বকে কালো দাগ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি। দীর্ঘদিন এই রোগের কবলে থাকলে হৃদরোগ, কিডনি, চোখ ও চর্মরোগও ঘিরে ফেলে।

জাম -

এটি একটি মরসুমি ফল যার বীজের গুঁড়ো ইনসুলিনের মাধ্যমে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এর গুঁড়ো জলের সাথে খেতে পারেন।

গুড়মার -

এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর। এতে জিমনেমিক অ্যাসিড রয়েছে যা রক্তে গ্লুকোজ শোষণের জন্য সময় বাড়ায়।  এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। এর পাতা চিবিয়ে বা শুকিয়ে গুঁড়ো করে খাওয়া যায়।

দারুহরিদ্রা -

অ্যান্টি-ডায়াবেটিক হওয়ার পাশাপাশি এটি একটি দুর্দান্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও। এটি গ্লুকোনোজেনেসিস হ্রাস করে গ্লুকোজ হোমিওস্টেসিস নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর। এর ক্বাথ তৈরি করে মধু দিয়ে পান করা হয়।

করলা -

এটি সাধারণতঃ সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর রস করেও পান করা হয়। এর ঔষধিগুণ রক্তে শর্করার আকস্মিক বৃদ্ধি রোধ করতে কাজ করে। এটি গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর।

মেথি -

মেথি হাইড্রোক্সিসিলুসিন অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সঙ্গে যুক্ত বিপাক ক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

আয়ুর্বেদে ডায়াবেটিসের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিটি সমস্যার চিকিৎসা বলা হয়েছে। ভালো ফলাফলের জন্য আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনধারার পরিবর্তনও প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর খাদ্য, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম, যা দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করবে।

বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ জ্ঞান ও ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে দেওয়া। প্রেসকার্ড নিউজ এটি নিশ্চিত করে না। কোনও নতুন কিছু শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অবশ্যই নিন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad