জি-২০ সম্মেলনের সময় হ্যাকিংয়ের ষড়যন্ত্র! পাকিস্তানকে উচিৎ শিক্ষা দিল ভারত

জি-২০ সম্মেলনের সময় হ্যাকিংয়ের ষড়যন্ত্র! পাকিস্তানকে উচিৎ শিক্ষা দিল ভারত 

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর: বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর নেতারা যখন জি-২০-র সাফল্যের জন্য ভারতের প্রশংসা করছেন, তখন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর তার ষড়যন্ত্র হল জি-২০তে সহযোগিতাকারী সরকারি ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার চেষ্টা। এই সময়কালে পাকিস্তানের কিছু র‌্যাডিক্যাল হ্যাকিং গ্রুপও বিভিন্ন জায়গা থেকে ভারতের ওপর সাইবার হামলা চালানোর চেষ্টা করে।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র জানাজানি হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পাকিস্তানের ৫০টিরও বেশি বড় ওয়েবসাইটই শুধু হ্যাক করা হয়নি, এসব ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ ডেটাও উধাও হয়ে গেছে। এই সময়কালে, পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সাইট হ্যাক হওয়ার কারণে কয়েক ঘন্টার জন্য পুরো দেশ স্থবির হয়ে পড়ে। পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি অথরিটি, বেলুচিস্তান পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের ওয়েবসাইটও রয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো যখন গোটা বিশ্বকে নতুন পথ দেখাতে কথোপকথনের জন্য একটি ফোরাম তৈরি করছিল, তখন চীনের প্রিয় পাকিস্তান জি-২০ সম্মেলন ব্যাহত করতে ওই ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, মা এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই সময়ে, পাকিস্তানের প্ররোচনায় হ্যাকাররা কিছু ওয়েবসাইট হ্যাকও করেছে।

গোয়েন্দা সূত্র বলছে, পাকিস্তানের এই কর্মকাণ্ডে আমাদের ওয়েবসাইটের কোনও ক্ষতি হয়নি, কিন্তু তারা নিজেদের জন্য বড় সমস্যা ডেকে এনেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা বলছেন, তারা ইতিমধ্যেই ইনপুট পেয়েছিলেন যে এই গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে পাকিস্তান এমন কিছু করতে পারে। এই কারণেই তার পুরো দলটি শুধুমাত্র এই পুরো বিষয়েই প্রস্তুত ছিল না বরং হ্যাকারদের এই আক্রমণকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য প্ল্যান এ এবং প্ল্যান বি নিয়ে মিশনে নিযুক্ত ছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং পাকিস্তান উপযুক্ত জবাব পেয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দেওয়া হয়। কিছু ভারতীয় ওয়েবসাইটে হামলার প্রতিশোধ হিসেবে, পাকিস্তানের ৫০টিরও বেশি সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট শুধু হ্যাক-ই করা হয়নি, সেগুলো সম্পূর্ণ ডেটা এক্সপ্লোরও করা হয়েছে এবং পরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরপরই, পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট, পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নিয়োগের সময় প্রস্তুত করা প্রবেশ পরীক্ষার ওয়েবসাইটও হ্যাক করা হয়।

এই ওয়েবসাইটে পাকিস্তানের ৫০ হাজারেরও বেশি অধ্যায় ছিল, যেগুলো সেনাবাহিনীতে ইন্টারভিউ ও এন্ট্রি টেস্টের সময় জিজ্ঞাসা করা হতো। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের খনি ও খনিজ উন্নয়ন বিভাগের ওয়েবসাইটও হ্যাক করা হয়েছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেটরি অথরিটির সম্পূর্ণ সাইট হ্যাক করা হয়েছে এমনকি এর ডেটাও উড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতে সাইবার হামলার প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট এবং পাকিস্তানের বেলুচিস্তান পুলিশ ও নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি অথরিটির ওয়েবসাইটও হ্যাক করা হয়েছে।  

সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি অথরিটির ওয়েবসাইটের তথ্যও খতিয়ে দেখা হয়েছে। ভারতে সাইবার আক্রমণের ঘৃণ্য প্রচেষ্টার পরে, পাকিস্তানের ৫০ টিরও বেশি ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছিল এবং তাদের সম্পূর্ণ ডেটা অদৃশ্য করে দেওয়া হয়।

সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের যেসব গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে তার মধ্যে পাকিস্তানের ওইসব সরকারি দপ্তর সম্পর্কিত ওয়েবসাইটও ছিল। এর জেরে কয়েক ঘন্টা পাকিস্তানের সরকারি ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। যে পাকিস্তানি ওয়েবসাইটটি হ্যাক হয়েছে, সেখানে একটি ইমোজিও ব্যবহার করা হয়েছে; হামসে জো টকরায়েগা, ও চুর-চুর হো জায়েগা। 

গোয়েন্দা সংস্থার সাথে জড়িত ঊর্ধ্বতন কর্তা বলেন, 'পাকিস্তান সর্বদা যে কোনও আন্তর্জাতিক স্তরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে আসছে, বিশেষ করে সেই সমস্ত কর্মসূচিতে যেখানে সমগ্র বিশ্বের উন্নতির জন্য পরিকল্পনা করা হয়। কর্নেল বিজয় পুন্ডির, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, বলেছেন যে, জি-২০-র গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা পূরণ করতে, সমগ্র বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলি নয়াদিল্লীর ভারত মণ্ডপে বসে, সেই সময়ে, পাকিস্তান, যারা সন্ত্রাসবাদকে লালন করে, পরিকল্পনা করছিল। চীনের নির্দেশে পরিকল্পনা করছিল। বৈঠকে বাধা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।'

কর্নেল পুন্ডির বলেন, 'বিশেষ বিষয় হল জি-২০, যার সদস্য চীনও, ক্রমাগত পাকিস্তানকে সমর্থন করে। যদি সেই পাকিস্তানের জঘন্য কাজটি এত বড় কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করে, তবে চীনের পাকিস্তানের মতোই জ্বালা রয়েছে।'