রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করার দাবীতে বিক্ষোভ ব্যবসায়ী সমিতির, দোসর মন্ত্রীর ভাই
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ১১ সেপ্টেম্বর: ব্যস্ততম হাসপাতালগামী রাস্তার কাজ অত্যন্ত ধীর গতিতে চলায় পথে নেমে বিক্ষোভ ব্যবসায়ী সমিতির, প্রতিবাদ করতে গেলে ঠিকাদারের লোকেরা তেড়ে আসছে, বিক্ষোভে সামিল হয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মন্ত্রীর ভাই। ঘটনা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের।
দীর্ঘ পাঁচ মাসেও শেষ হলো না এলাকার ব্যস্ততম রাস্তা সংস্কারের কাজ। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার দাবীতে এবারে পথে নেমে বিক্ষোভ ব্যবসায়ী সমিতির। বিক্ষোভে সামিল স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর ভাইও। সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় ব্যবসায়ী সমিতির এই বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। সৃষ্টি হয় যানজট।
উল্লেখ্য, হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার রামবিধু মোড় থেকে হাসপাতালগামী মনসা মন্দির পর্যন্ত প্রায় ৪০০ মিটার রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন ফিতা কেটে ঘটা করে সেই রাস্তার কাজের উদ্বোধন করেছিলেন। মাঝে নির্বাচন চলাকালীন বন্ধ থাকে কাজ। কিন্তু নির্বাচনের পরে পুনরায় কাজ শুরু হতেই স্থানীয়রা রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। প্রশ্নের মুখে পড়ে ঠিকাদারের ভূমিকা। যদিও পরবর্তীতে পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা এসে কাজ পরিদর্শন করে গিয়েছিলেন।
কিন্তু তারপরেও হাল ফেরেনি কাজের। অত্যন্ত ধীর গতিতে চলছে কাজ। ফলে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে ব্যাপক সমস্যা। এমনকি রাস্তার কাজের সামগ্রী ফেলা থাকছে রাস্তার ওপরেই, যেখান থেকে ঘটছে দুর্ঘটনা। ব্যস্ততম এই রাস্তার কাজে ধীর গতিতে চলার ফলে কয়েক মাস ধরে এলাকার ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ শেষ করার কথা বারবার বলা হলেও তিনি কোন কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ। তাই দ্রুত এবং নিয়ম মেনে সঠিক কাজ করার দাবীতে এবার বিক্ষোভ শুরু করল হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতি। ব্যবসায়ী সমিতির দাবী, যে ভাবেই হোক দুর্গা পুজোর আগে কাজ শেষ করতে হবে।
এদিনের এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পবন কেডিয়া, সভাপতি ডাবলু রজক, সাগর দাস সহ আরও অনেকে। সাথে সামিল হন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের ভাই শেখ জামিরুদ্দিন, যিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। পেশায় তিনি নিজেও একজন ব্যবসায়ী। ঠিকাদারের ভূমিকায় একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনিও। এমনকি তাঁর অভিযোগ নির্মীয়মান রাস্তার ওপর বিভিন্ন সামগ্রী পড়ে থাকায় যানজট হচ্ছিল। তিনি সেটা সরাতে বললে রাস্তার কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা লোকেরা তার দিকে তেড়ে আসে।
No comments:
Post a Comment