ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেল শান্তিনিকেতন, খুশির হাওয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম, ১৮ সেপ্টেম্বর: ইউনেস্কো (UNESCO)-র 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ', অর্থাৎ 'বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী' স্থান হিসাবে স্বীকৃতি পেল শান্তিনিকেতন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেল বিশ্বকবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী তথা শান্তিনিকেতন। রবিবার এই ঘোষণা করে ট্যুইটে করা হয় ইউনেস্কোর তরফে, পাশাপাশি অভিনন্দন-ও জানিয়েছে ইউনেস্কো। শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি পেতেই বাংলার মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা আসায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনে। তাই এই খবর আসতেই বিশেষ উপাসনার আয়োজন করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রীতিমতো উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। ঢাক-ঢোল নিয়ে আশ্রম পরিক্রমা করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।
২০১০ সালে বিশ্বভারতীকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকা ভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিল কর্তৃপক্ষ। তারপরেও একাধিকবার আবেদন করা হয়েছিল। সেই মত ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর দ্য ইউনাইটেড নেশনস এডুকেশন্যাল সাইন্টিফিক এণ্ড কালচারাল অরগানাইজেশান (UNESCO)- এর ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছিল শান্তিনিকেতনে। সঙ্গে এসেছিলেন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকেরাও।
বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন গৃহ, তালধ্বজ, কলাভবন, সঙ্গীতভবন, আম্রকুঞ্জ, রবীন্দ্রভবন, সিংহ সদন, রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্য, কালো বাড়ি, উপাসনা গৃহ প্রভৃতি ঘুরে দেখেছিলেন৷ ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছিল বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ভবন ও স্থাপত্য, ভাস্কর্যগুলি। প্রসঙ্গত, ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে মানবতার ঐক্যকে স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ইউনেস্কোর সমাবেশ। সেখান থেকেই এদিন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী তথা শান্তিনিকেতনকে 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ' তকমা দিল ইউনেস্কো। ইতিমধ্যেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ট্যুইটে 'ইউনেস্কোর নতুন শিলালিপি বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী তালিকায় শান্তিনিকেতন, হ্যাশট্যাগ ইন্ডিয়া' লিখে 'অভিনন্দন' জানানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment