ওজন কমাতে চাইছেন? বন্ধ করুন ঠান্ডা জল পান
প্রেসকার্ড নিউজ, হেল্থ ডেস্ক, ৮ সেপ্টেম্বর: অনেকেই ঠাণ্ডা জল পান করে তৃষ্ণা নিবারণ করেন এবং শীতের মরসুমেও তারা ফ্রিজের ঠান্ডা জল পান করতে পছন্দ করেন। আপনিও যদি প্রতি ঋতুতেই ঠাণ্ডা জল পান করতে পছন্দ করেন, তবে জেনে নিন যে, ঠান্ডা জল বিভিন্ন উপায়ে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। এটি শুধুমাত্র আমাদের হজম প্রক্রিয়াকেই প্রভাবিত করে না, সাইনাসের সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে। গার্ডেন লাইফের মতে, ঠান্ডা জল পান করা আমাদের নাড়ির গতি এবং হৃদস্পন্দন কমিয়ে দিতে পারে এবং কারুর যদি ইতিমধ্যেই হার্টের সমস্যা থাকে, তবে এটি আবার আক্রমণ করতে পারে। শুধু তাই নয়, এটি আমাদের শরীরের মেদ বাড়াতেও কাজ করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠাণ্ডা জল পানের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলো ।
হজমের সমস্যা -
ঠাণ্ডা জল পান হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত প্রভাবিত করে। আপনি যদি নিয়মিত ঠাণ্ডা জল পান করেন, তাহলে খাবার হজম করতে অসুবিধা, পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফাঁপা হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। আমরা যখন ঠাণ্ডা জল পান করি তখন তা শরীরের তাপমাত্রার সাথে মেলে না, ফলে শরীরে পৌঁছে পাকস্থলীতে উপস্থিত খাবার হজম করাতে অসুবিধা হয়।
মাথাব্যথা এবং সাইনাস -
অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জল পান করলে 'ব্রেন ফ্রিজ'-এর সমস্যা হতে পারে। বরফের জল বা আইসক্রিম অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে এটি ঘটে। এতে ঠাণ্ডা জল মেরুদণ্ডের সংবেদনশীল স্নায়ুকে শীতল করে, যার কারণে এটি মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। এই কারণে মাথাব্যথা ও সাইনাসের সমস্যাও হতে পারে।
হৃদস্পন্দন ধীর করে -
আমাদের শরীরে একটি ভ্যাগাস স্নায়ু রয়েছে যা ঘাড়ের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস এবং পরিপাকতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি যদি খুব বেশি ঠান্ডা জল পান করেন তবে এটি স্নায়ুগুলিকে দ্রুত শীতল করে এবং হৃদস্পন্দন এবং পালস রেটকে ধীর করে দেয়, যা একটি জরুরি পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
চর্বি বৃদ্ধি -
ঠাণ্ডা জল শরীরে জমে থাকা চর্বিকে শক্ত করে তোলে, যার কারণে চর্বি পোড়াতে সমস্যা হয়। আপনি যদি ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তাহলে ঠান্ডা জল থেকে দূরে থাকুন।
No comments:
Post a Comment